বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: কক্সবাজার গিয়ে এক গ্রামের ৬ তরুণ নিখোঁজ রয়েছে ৫ দিন ধরে। জকিগঞ্জ থেকে তারা সেখানে গিয়েছে। পৌঁছার পর পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয়েছে সেদিন। তারপর থেকে কোন সন্ধান মিলছে না। বন্ধ তাদের মোবাইল ফোন।
জকিগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ১৯ এপ্রিল নিখোঁজ তরুণদের পরিবারের পক্ষ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাকিং করে ৬ জনের অবস্থান কক্সবাজার দেখাচ্ছে। পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে। নিখোঁজদের স্বজনরা তাদের সন্ধান পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছেন। নিখোঁজ তরুণেরা হলেন খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল গ্রামের মৃত লুকুছ মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (২০), ফারুল আহমদের ছেলে মারুফ আহমদ (১৮), আজির উদ্দিনের ছেলে শাহিন আহমদ (২১), মৃত দুরাই মিয়ার ছেলে এমাদ উদ্দিন (২২), ছফর উদ্দিনের ছেলে খালেদ আহমদ (১৯) ও মৃত সরবদি’র ছেলে আব্দুল জলিল (৪০)।
নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য সফর উদ্দিন। তিনি জানান, যত সময় যাচ্ছে নিখোঁজদের পরিবারে উৎকণ্ঠা বাড়ছে। গোটা এলাকায় জনমনে অস্থিরতা বিরাজ করছে। স্বজনেরা তাদের প্রতীক্ষায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, নিখোঁজ ৬ জনেই দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করে। এখন হঠাৎ করে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারছেন না। আমরা ১৮ এপ্রিল বিষয়টি অবগত হয়েছি। এরপর থেকে কাজ করছি, মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে তাদের অবস্থান কক্সবাজার দেখাচ্ছে।
নিখোঁজ এমাদ উদ্দিনের চাচাতো ভাই আব্দুল বাছিত দুলাল জানিয়েছেন, কক্সবাজার পৌঁছানোর পর কথা হয়েছিল পরিবারের সাথে। এরপর থেকে ৬ জনের মোবাইল ফোন এক সাথে বন্ধ পাওয়া যায়। ৪-৫ বছর ধরে রশিদ চট্টগ্রামে কাজ করে। বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল। কক্সবাজার এই প্রথম গিয়েছে। ওইখানে এক ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতে গিয়েছে। তবে ঠিকাদারের নাম ঠিকানা কোনো কিছু জানাতে পারেননি নিখোঁজ রশিদের ভাই বাছিত।
নিখোঁজ খালেদ হাসানের বাবা ও ইউপি সদস্য সফর উদ্দিন বলেন, তারা প্রায় সময়ে কাজের জন্য চট্টগ্রাম ৫-৬ মাস থাকে। ঈদে বা মাহফিলের সময় বাড়িতে আসে। আবার সেখানে গিয়ে কাজ করতো। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) আমার ছেলে বলে যায়, ‘আব্বা যাইরামগি’। এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই।