বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
অ্যাপল ইনকরপোরেটেড একটি বিখ্যাত আমেরিকান বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি। ১৯৭৬ সালের ১ এপ্রিল স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েন মিলে অ্যাপল গঠন করেন। এবার টেক জায়ান্ট গুগলের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে আসছে অ্যাপল।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের খবর, বেশ আগে থেকেই নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির কাজ করে আসছিল অ্যাপল। সে জন্য অ্যাপল দুই বছরেরও বেশি সময় আগে গুগলের সার্চের প্রধান জন গিয়ানানড্রেয়াকে নিয়োগ দিয়েছিল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগ গুগলের বিরূদ্ধে বিশ্বাসহীনতার অভিযোগ তোলায় নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিনের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করেছে অ্যাপল।
জানা গেছে, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের জন্য প্রতিবছর ৮ থেকে ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয় অ্যাপলের। যদিও নিজস্ব এই সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য জানায়নি অ্যাপল।
অ্যাপলের সার্চ ইঞ্জিনটার আকৃতি কেমন হবে তা খুব একটা পরিষ্কার না হলেও এটা প্রায় পরিষ্কার যে, অ্যাপল এবং গুগলের প্রাইমারি সার্চ প্রোভাইডার হিসেবে বিভিন্ন ডিভাইস থেকে অর্থ নেওয়ার যে আচরণ তা হয়তো খুব তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রকদের একটি চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
তবে অ্যাপল হয়তো প্রাইভেসির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেবে। কেননা ক্রেতাদের প্রতি টিম কুকের একটি খোলা চিঠির বক্তব্য এমন ছিল, আমাদের ব্যবসার মডেলটি খুবই সোজাসাপটা। আমরা অনেক বড় মাপের পণ্য বিক্রি করি। কিন্তু ক্রেতাদের রুচি পর্যবেক্ষণের জন্য আমরা ক্রেতাদের ই-মেইলের ওপর ভিত্তি করে কোনও প্রোফাইল ডাটাবেজ তৈরি করি না। আইফোন বা আইক্লাউডের স্টোরেজে জমা করে রাখা তথ্যগুলোর ওপর দৃষ্টি দেই না। ক্রেতাদের ই-মেইল বা ম্যসেজ আমরা পড়িও না।
এখন পর্যন্ত অ্যাপলের ডিভাইসে গুগলের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারের জন্য অ্যাপল গুগলকে এক হাজার থেকে ১২শ’ কোটি ডলার দেয় প্রতি বছর। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগ গুগলের বিরূদ্ধে বিশ্বাসহীনতার মামলা করার জন্য এই চুক্তিটি হয়ত খুব তাড়াতাডিই শেষ হয়ে যাবে।