Home আন্তর্জাতিক জাওয়াহিরিকে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে যে অস্ত্রে

জাওয়াহিরিকে ছিন্নভিন্ন করা হয়েছে যে অস্ত্রে

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

আকাশেই অপেক্ষা করতে পারে এই ‘মৃত্যুদূত’। এয়ারক্রাফ্ট বা সশস্ত্র ড্রোন থেকে একে তাক করা হলে নিমেষে ছুটে গিয়ে ছিন্নভিন্ন করে দিতে পারে নির্দিষ্ট নিশানাকে। ছটি ধারালো ব্লেড নিয়ে ছুটে আসে এই ক্ষেপণাস্ত্র। এর বিস্ফোরণের তীব্রতা বিশাল। এর নাম হেলফায়ার নিনজা মিসাইল । মার্কিন সেনারা একে ‘নিনজা বোম’ বলে।  আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে হেলফায়ার ব্যবহার করে খুব সাফল্য পেয়েছিল মার্কিন বিমানবাহিনী। এবার আল-কায়দা প্রধান আল জাওয়াহিরিকে খতম করতেও এই অস্ত্রেরই প্রয়োগ করে মার্কিন সেনারা।

২০২০ সালে ইরানের এলিট কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সুলেমানিকে খতম করতেও এই শক্তিশালী হেলফায়ার মিসাইলেরই প্রয়োগ করেছিল আমেরিকা। যত ধরনের শক্তিশালী যুদ্ধট্যাঙ্ক (ওয়ার ট্যাঙ্ক) রয়েছে, সবকেই গুঁড়িয়ে দুরমুশ করে দিতে পারে এই হেলফায়ার মিসাইল। এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে চালনা করা হয় লেজারের মাধ্যমে। যুদ্ধবিমান বা সশস্ত্র ড্রোন থেকে নিক্ষেপ করা যায় এই মিসাইল । বিশেষ করে আমেরিকার সেনারা তাদের এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন থেকে এই ধরনের যুদ্ধাস্ত্রের প্রয়োগ করে।

What are the blades made of in a Hellfire R9X 'Flying Ginsu' missile? -  Quora

আমেরিকার বায়ুসেনা এই ধরনের সশস্ত্র ড্রোন ব্যবহার করে যাকে প্রিডেটরও বলা হয়।  প্রিডেটর-বি ড্রোনকেই বলা হয় এমকিউ-৯ রিপার  । এর উন্নত রাডার ও সেন্সর সিস্টেম অনেক উঁচু থেকেই শত্রুঘাঁটি চিনে নিতে পারে। প্রতিপক্ষ টের পাওয়ার আগেই নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে । এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন আকারে বড়, ওজনেও ভারী। চালকহীন কমব্যাট এরিয়াল ভেহিকল। ভূমি থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে এই ঘাতক ড্রোন । ইলেকট্রো-অপটিকাল ও ইনফ্রারেড দুটি ভার্সনই আছে এই ড্রোনের, মাল্টি-মোড রাডার সিস্টেম, ইলেকট্রনিক সাপোর্ট মেজারস সিস্টেম রয়েছে। এর থেকে হেলফায়ারের মতো শক্তিশালী মিসাইল নিক্ষেপ করা সহজ। ‘এয়ার টু এয়ার’ এবং ‘এয়ার টু গ্রাউন্ড’ দুই ক্ষেত্রেই আঘাত হানতে পারে হেলফায়ার।

 

US Secret missile with Swords : Ninja Bomb | Hellfire R9X missile - YouTube
AGM-114 R9X Hellfire Blade Bomb

আল-কায়দা প্রধানকে খতম করতে আমেরিকা যে ধরনের হেলফায়ারের প্রয়োগ করেছে তার নাম হেলফায়ার আর৯এক্স। ২০১৭ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্র আল-কায়দার আরও এক শীর্ষ নেতা আবু আল-খায়ার আল-মাসরিকে নিকেশ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই অস্ত্রের আরও এক নাম ‘ফ্লাইং গিনসু’। একে নিনজা বোমও বলেন মার্কিন সেনারা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন জাওয়াহিরির ঘাঁটি চিনে সেখানে নিক্ষেপ করা হয় এই ক্ষেপণাস্ত্র। তবে জাওয়াহিরির পরিবারের কোনও ক্ষতি করা হয়নি। সেখানকার বাসিন্দাদেরও কোনও ক্ষতি হয়নি।