দিল্লি: একদিকে পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিনের দাপট, অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধিতে চিন্তায় কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র বলছে, গত তিন মাসে উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ অনেক বেড়েছে। সীমান্তে পেরিয়ে পাক জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছে। উপত্যকার একাধিক জঙ্গি সংগঠনও সক্রিয়। তাদের খতম করতে একের পর এক এনকাউন্টার চালিয়েছে ভারতীয় সেনা। সাফল্য এসেছে গত দু’মাসে।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্র বলছে, বিদেশি জঙ্গিদের সক্রিয়তা বেড়েছে উপত্যকায়। পাকিস্তান থেকে জম্মু-কাশ্মীরে ঢুকছে জঙ্গিরা। তবে জঙ্গি দমন অভিযানে বড় সাফল্যও পেয়েছে ভারতীয় বাহিনী। রিপোর্ট বলছে, চলতি বছর ১৫ জুলাই অবধি মোট ৮৬ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে উপত্যকায়। মোট ১৬টি এনকাউন্টার হয়েছে। যার মধ্যে জুলাই মাসেই গত ২০ দিনে দশ বার জঙ্গি দমন অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। খতম হয়েছে ২০ জন জঙ্গি, যাদের মধ্যে চারজন পাকিস্তানের বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
গত শুক্রবারই শোপিয়ানে এনকাউন্টার চালায় কাশ্মীর পুলিশ, সেনাবাহিনীর ৩৪ নম্বর রেজিমেন্ট ও সিআরপিএফ। দুই জঙ্গিকে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয়, যার মধ্যে লস্কর-ই-তৈবা সংগঠনের উচ্চপদস্থ কম্যান্ডারও ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় নাশকতার কাজে যুক্ত ছিল এই লস্কর কম্যান্ডার, নাম ২০১৭ সাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় নাশকতার কাজে যুক্ত। গত তিন মাসে শোপিয়ানে সেনাবাহিনীর এটাই সবচেয়ে বড় সাফল্য।
বস্তুত, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ধারে ড্রোনের আনাগোনা লক্ষ করা যাচ্ছে প্রায়ই। জম্মু এলাকায় ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানঘাঁটিতে পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা ড্রোন হামলা চালায়। এর পর থেকেই কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি ও এনকাউন্টার চালাচ্ছে ভারতীয় বাহিনী। চলতি মাসেই রাজৌরি এলাকায় দুই সন্দেহভাজন পাক জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়। হিজবুল মুজাহিদিনের এক সক্রিয় কম্যান্ডারেরও মৃত্যু হয়েছিল সেই এনকাউন্টারে। সূত্র জানাচ্ছে, সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ে ১৫ জন জওয়ান ও ১৯ জন গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়েছে। গত মাসে জম্মু বিমানবন্দরের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জোড়া বিস্ফোরণ চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ৬ কেজির মতো বিস্ফোরকও উদ্ধার হয়েছিল। এক লস্কর জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।-বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক