বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম: সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপি করে ফল বদলে দেওয়ার অভিযোগে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলার ঘোষণা দিয়েছেন পরাজিত বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন।
আজ (বৃহস্পতিবার) নবনির্বাচিত সিটি মেয়র রেজাউল করিমের শপথ গ্রহণের দিনে দুপুরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ভোটগ্রহণের তথ্য চাইতে এসে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন তিনি।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। দেশ মাফিয়াদের হাতে চলে গেছে। মানুষ ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার সব হারিয়ে ফেলেছে। আওয়ামীলীগের প্রার্থী রেজাউল করিম ৩ লাখ ৬৯ হাজার ভোট পেয়েছেন দেখানো হচ্ছে, বাস্তবে তিনি এতো ভোট পাননি। তিনি খুব বেশি হলে ২০-২৫ হাজার ভোট পেতে পারেন। বাকি সাড়ে তিন লাখ ভোট তাকে যোগ করে দিয়ে জয়ী দেখানো হয়েছে। ভোটের দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪-৬ শতাংশ। কিন্তু দিন শেষে দেখানো হয়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ। নির্বাচনে ৪ হাজার ৮৮৫টি ইভিএম ব্যবহার করা হয়। অথচ মাত্র ১০টি বুথে ইভিএম’র প্রিন্টেড কপি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের দিন প্রতিঘণ্টার ভোটের হিসাব দেখতে চেয়েছিলাম অথচ ১০ দিন পরেও এই তথ্য দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এখন কমিশন বলেছে এ তথ্য এখান থেকে দেওয়া সম্ভব না, ঢাকা থেকে সংগ্রহ করতে হবে। এভাবে ভোট ডাকাতি করে আমাদেরকে জোর করে হারিয়ে দেওয়ায় আমরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের ফলাফলের বিষয়ে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থীকে আমার স্বাক্ষরিত ৭৩৫ কেন্দ্রের ফলাফল সরবরাহ করেছি। কিন্তু ইভিএম এর প্রিন্টেড কপির বিষয়ে তিনি তথ্য চেয়েছেন। এটি আমার এখতিয়ারে নেই। তথ্যগুলো ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সংরক্ষণ করে।
উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৮৪ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম. রেজাউল করিম চৌধুরী। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট। বৃহস্পতিবার (১১ফেব্রুয়ারি) শপথ নেন নবনির্বাচিত সিটি মেয়র।