মো. নাজমুল ইসলাম সবুজ
বাগেরহাট: সমুদ্র ও নদ-নদীর সকল প্রকার মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করছে কতিপয় জেলে ও মহাজন।
অভিযোগ রয়েছে, পুর্ব সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকার অভয়াশ্রমগুলোর নানা প্রজাতির মাছ শিকার করা হচ্ছে অবাধে। কর্তৃপক্ষ নির্বিকার রয়েছে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে।
মাছের প্রজননসহ সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষনের জন্য ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সমুদ্র সীমায় ইলিশ সহ উপকূলীয় নদ-নদীর সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রনালয়। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা মানা হচ্ছে না সুন্দরবন এলাকায়।
সুন্দরবন সুরক্ষা কমিটির এক সদস্য এবং বন-লাগোয়া সোনাতলা এলাকার বাসিন্দা ও ব্যাবসায়ী বলেন, নিষেধাজ্ঞার পরেও স্থানীয় কিছু মৎস্য ব্যাবসায়ী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে সুন্দরবনের বিভিন্ন অভয়াশ্রমের মাছ লুটতে শুরু করে রাতারাতি বাগেরহাট, খুলনা , মঠবাড়িয়া পিরোজপুর ও ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান করে দেয়া হচ্ছে ।
এ বিষয়ে শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এম এম পারভেজ বলেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষা সহ প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সমুদ্র সহ উপকূলবর্তী নদ-নদীতে ৬৫ দিন জেলেরা মাছ আহরন করতে পারবে না। বন-বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা মাছ শিকারের অনুমতি (পাস-পারমিট) বন্ধ করে দিয়ে জেলেজের বিরত রাখতে পারেন।
অপরদিকে, এ বিষয়ে জানতে, (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীনের মুঠোফোনে কল করে সাড়া মেলেনি।
শরনখোলা রেঞ্জের ষ্টেশন কর্মকর্তা মো. আ. মান্নান জানান, নিষেধাজ্ঞার পর নুতন করে কোন পাস দেওয়া হচ্ছে না। আগে জেলেরা যে পাস নিয়েছেন তাদের মধ্যে কিছু জেলে বনে মাছ ধরছে এবং ২-১ দিনের মধ্যে ওই সব জেলে লোকালয়ে ফিরে আসবে।