বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটারের উদ্যোক্তা-পরিচালকদের বিরুদ্ধে আইপিওর (প্রাথমিক গণপ্রস্তাব) অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) গঠিত তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে প্রতারণামূলকভাবে ভুল তথ্য উপস্থাপনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত ডিএসইর তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এবার নিজেদের কর্মকর্তা দিয়ে আবারও তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসইসির উপ-পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও মো. রতন মিয়াকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে কমিশন। কমিটিকে আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল নূরানী ডাইং নিয়ে নতুন তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে এসইসি।
২০১৭ সালে ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্টস ও সিএপিএম অ্যাডভাইজরি লিমিটেডের সম্মিলিতভাবে ব্যবস্থাপনায় নূরানী ডাইং আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। সে সময় পুঁজিবাজার থেকে অভিহিত মূল্যে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করে ফেনীর কোম্পানি নূরানী ডাইং। আইপিওর অর্থে ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বিনিয়োগ দেখায় কোম্পানিটি, যার কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। আর্থিক প্রতিবেদনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া হয়। স্টক এক্সচেঞ্জ কিংবা শেয়ারহোল্ডারদের কোনো ধরনের নোটিস ছাড়াই দীর্ঘদিন কোম্পানিটির উৎপাদন ও করপোরেট অফিস বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএসইর তদন্ত কমিটি নূরানী ডাইংয়ের আইপিওর টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। পাশাপাশি আর্থিক প্রতিবেদনে প্রতারণামূলক ভুল তথ্য উপস্থাপনও তদন্তে ধরা পড়ে। আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির বিক্রি করা মালামালের মিথ্যা, অসত্য, বানোয়াট তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
২০১৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটার। ‘এ’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১২২ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটির মোট শেয়ার ১২ কোটি ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.৯৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭.২৮ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫১.৭৯ শতাংশ শেয়ার আছে। সোমবার (৯ মে) নূরানী ডাইং অ্যান্ড সোয়েটারের শেয়ার সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৭.১০ টাকায়।