বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবাগঞ্জ: উত্তর জনপদ জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের এক ক্লিনিকে গত শুক্রবার রাতে জন্মায় ওই অদ্ভুত চেহারার শিশু । মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটনা একেবারেই বিরল। গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের ভ্যানচালক নাসির হোসেনের স্ত্রী জিন্নাতুন খাতুন শিশুটির জন্ম দিয়েছেন। শনিবার পর্যন্ত সুস্থই ছিল সদ্যোজাত।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ প্রসব বেদনা অনুভব করলে ওই ক্লিনিকে ভরতি করা হয় জিন্নাতুন খাতুনকে। বাচ্চা প্রসবের নির্ধারিত তারিখের দু’দিন পেরিয়ে যাওয়ায় সিজারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক। পরে ডাক্তার মহম্মদ হাসেম আলির তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসকের সঙ্গে থাকা নার্স মোসা, ফতেমা খাতুন বলেন, অস্ত্রোপচারের সময়ই তাঁরা দেখতে পান, বাচ্চাটির মাথা নেই! যা রয়েছে তা মাথার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। এমনকী মাথার ভিতরে থাকা মগজ বাইরে আলাদা একটি থলেতে আছে। অবাক করা বিষয় শিশুটির আবার স্ত্রী ও পুরুষ- দুই ধরনের যৌনাঙ্গই রয়েছে। নার্সের কথায়, “অপারেশন থিয়েটারে এমন শিশু দেখে সবাই অবাক হয়েছিলাম। গোটা বিষয়টি শিশুর পরিবারকে জানানো হয়। শিশুর মাকেও বলা হয় এমন অদ্ভুত বিষয়টি। জন্মের কিছুক্ষণ পর তার মা তাকে দেখেছে। এরপর জানাজানি হলে উৎসুক জনতা শিশুটি দেখতে ভিড় জমায়। দীর্ঘদিন ধরে সিজারের অস্ত্রোপচার করলেও এমন অভিজ্ঞতা কখনও হয়নি।”
শিশুটি জন্মের পর ক্লিনিকের আয়া তার আম্বিলিক্যাল কর্ড কাটেন। তিনি জানান, “জন্মের পর বাচ্চাটিকে আমার হাতে তুলে দেওয়া হয়। বাইরে এনে নাভির অংশটি কাটি। ওর ওজন-সহ বাকি সবকিছু স্বাভাবিকই আছে। মুখে হাসিও ফুটেছে সদ্যোজাতর। কিন্তু মাথা অর্ধেক নেই এবং পুরুষ ও নারী উভয় লিঙ্গই রয়েছে।” আপাতত পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে শিশুটিকে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. গোলাম রাব্বানী বলেন, “এমন ঘটনা বিরল। উভয় লিঙ্গ নিয়ে জন্ম নেওয়ার ঘটনা চিকিৎসা বিজ্ঞানে একেবারেই অদ্ভুত! তবে মাথার খুলির পরিপক্বতা না পেলে মগজ আলাদা হয়ে থাকতে পারে।”