বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার): আসন্ন ইউপি নির্বাচনে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া কাদিপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দলীয় মনোনয়ন না দিয়ে গত নির্বাচনে ‘রজনীগন্ধা’ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ১১৩ ভোট পেয়ে জামানত হারানো ব্যাক্তিকে দেয়ার খবর প্রকাশ হলে স্থানীয়দের মধ্য ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোননয়ন বোর্ড তাঁদের ফেসবুক পেইজে কুলাউড়ার ১৩ টি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে।
দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাদিপুর ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমদ গিলমান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর ও কাদিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম ছালিক আহমেদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কুলাউড়ার ১৩টি ইউনিয়নের তালিকা প্রকাশ করলে কাদিপুরে নৌকার মনোনয়ন পান এম ছালিক আহমেদ।
ছালিক আহমেদ গত ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রজনীগন্ধা প্রতীকে ১১৩ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছিলেন। এবার নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্য দুই প্রার্থীর সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে পোস্ট দেন এবং প্রার্থীতা পরিবর্তনের জন্য আ.লীগ সভা নেত্রীর প্রতি আহবান জানান।
ছালিক আহমদ বলেন , দল এবং নেত্রী আমাকে প্রার্থী করেছেন, আমি নিশ্চিত জয়ী হব। গত বছর স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও আমি নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু করেছেন, কিন্তু নির্বাচনে নৌকা জয়ী হবে এতে সন্দেহ নেই।
এ ব্যাপারে হতাশা ব্যাক্ত করছেন এই ইউনিয়নে নৌকা মার্কার প্রার্থী হতে ইচ্ছুক জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আহমেদ গিলমান। এক প্রতিক্রিয়ায় বিজনেসটুডে২৪কে তিনি বলেন, অনেক দিন থেকে রাজনীতি ও জনসেবা করে যাচ্ছি। যা আমাদের পরিবারেরই ঐতিহ্য। তবে গত নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়েছে, এটা কাম্য নয়। জেলা, উপজেলা আওয়ামীলীগ হতাশ, সেই সাথে হতাশ অঙ্গসংগঠন ও ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।
মনোনয়ন প্রত্যাশী উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি বদরুল ইসলাম বদর বলেন, তৃণমূল থেকে আওয়ামী ঘরোনার রাজনীতি করে আসছি। গত নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। এবারো মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। কিন্তু পাইনি। স্বাভাবিকভাবে হতাশ। তবে দল ও নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে যাবো।
কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু জানান, তিন জনের নাম কেন্দ্রে পাঠাতে হয় তাই বাধ্য হয়ে অন্য দুই প্রার্থীর সাথে ছালিক আহমদের নামও দিতে হয়েছে। তবে নৌকা নিয়ে জয়ী হতে পারবে এমন প্রার্থীরা ইতিমধ্যে হাইকমান্ডে যোগাযোগ করছেন আশা করছি দ্রুত যৌগ্য প্রার্থী মনোনীত হবেন এবং নৌকা এই আসনে যোগ্য প্রার্থী পাবে।