- বাংলাদেশ থেকে নদীপথে পণ্য পরিবহণ শুরু ত্রিপুরায়
- সিমেন্ট বোঝাই জলযানটিকে সোনামুড়ায় স্বাগত জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বাংলাদেশে নিয়োজিত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
আগরতলা (ত্রিপুরা ): অবশেষে আজ শনিবার আসলো সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নদীপথে বাংলাদেশ থেকে এখানে পণ্য এসে পৌঁছার মধ্যে দিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন মাইলফলক তৈরি হল।
এক হাজার ব্যাগ প্রিমিয়ার সিমেন্ট আসলো প্রথম চালানে। বাংলাদেশ থেকে নদীপথে পণ্য পরিবহণ শুরু হয়ে গেল ত্রিপুরায়। সিমেন্ট বোঝাই জলযানটিকে সোনামুড়ায় স্বাগত জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এবং বাংলাদেশে নিয়োজিত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাস।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এক টুইট বার্তায় বলেন, ত্রিপুরার জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত! ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পরীক্ষামূলক জলযান যাত্রা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সূচনা৷ কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ত্রিপুরার সোনামুড়া পর্যন্ত গোমতি নদী দিয়ে পণ্য আনার জন্য বাংলাদেশ সরকার অনুমতি দিয়েছে৷ এই প্রথম জলযানে পণ্য ত্রিপুরা পর্যন্ত আসছে৷ এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় জাহাজমন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ সাথে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন৷
বৃহস্পতিবার কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে প্রিমিয়িার সিমেন্ট বোঝাই তাদের বার্জটি রওনা হয় ত্রিপুরার উদ্দেশে। গোমতী নদী বেয়ে ৯৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সোনামুড়ায় এসে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম কোনও পণ্য নদীপথে আসলো ত্রিপুরায়। সেদিক থেকে এ ঘটনা ঐতিহাসিক। দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও নতুন মাইলফলক তৈরি হল।
এই নতুন জলপথে পুরোদস্তুর পণ্য পরিবহণ শুরু হয়ে গেলে সামগ্রিক ভাবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের আরও প্রসার ঘটবে। এ ভাবে পণ্য পরিবহণে খরচ কম, তা পরিবেশ সহায়ক। তা ছাড়া এই জলপথ-বাণিজ্য দুই দেশেরই স্থানীয় অর্থনৈতিক বিকাশে সহায়ক হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নদীপথে পণ্য পরিবহণের জন্য ১৯৭২ সালে প্রটোকলে সই হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে এর মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ানো হবে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা হবে। গত এক বছরে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সেই সব প্রোটকল রুট মারফত প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণ করা হয়েছে। এ বছর মে মাসে সেই প্রটোকল রুটে নতুন সংযোজন হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মতে, দাউদকান্দি ও সোনামুড়ার মধ্যে ৯৩ কিলোমিটার নদীপথের যে নতুন রুট অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং যার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে, তাতে দু’দেশেরই পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিরও সুবিধা হবে।