বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা:পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১০ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষা করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এর জন্য অডিট ফার্মগুলোর কাছে থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
বিপুল সম্পদ থাকার পরও নামমাত্র মুনাফায় থাকা ন্যাশনাল টি কোম্পানির ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ বছরের নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের বিশেষ নিরীক্ষা করতে হবে নিরীক্ষককে। এসইসির চাহিদা অনুসরে তা করতে হবে।
মুনাফায় বড় ধরনের উত্থান-পতনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানির নিরীক্ষিত প্রতিবেদন নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তাই বিশেষ অডিটের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সিলেট বিভাগের ১২টি চা-বাগান নিয়ে কোম্পানির উৎপাদন কার্যক্রম চললেও মুনাফায় থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে ন্যাশনাল টি কর্তৃপক্ষকে। এর মধ্যে সর্বশেষ দুই হিসাব বছরে টানা লোকসান দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চলতি হিসাব বছরের অর্ধবার্ষিক পর্যন্ত কিছুটা মুনাফায় থাকলেও কোম্পানির সম্পদের তুলনায় খুবই কম।
চা উৎপাদনকারী কোম্পানি ন্যাশনাল টি’র পথচলা শুরু হয় ১৯৭৮ সালে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ১৯৭৯ সালে। শুরুতে ভালো অবস্থানে থাকলেও ২০১০ সালের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয়-মুনাফা কমছে। জানা যায়, ন্যাশনাল টি’র পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ বাড়তি উৎপাদন খরচ। প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে পুরনো ও সবচেয়ে বড় পাত্রখোলা চা বাগান। বাগানের জমির পরিমাণ ১ হাজার ৮৫৭ দশমিক ২০ হেক্টর।
ন্যাশনাল টি কোম্পানির ৫১ শতাংশ মালিকানায় আছে সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশ, সাধারণ বিমা করপোরেশন ও সরকারি ব্যাংক। বাকি অংশ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে। দেশের চা শিল্পে প্রতি বছর উন্নয়নের ছোঁয়া লাগছে, লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে চা উৎপাদনে। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানির কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কারণে কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে।