বিজনেসটুডে ২৪ প্রতিনিধি
পঞ্চগড়: দেশের সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এখন লাল মরিচের রাজ্য। হিমালয়কন্যা খ্যাত এই জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যেদিকেই চোখ যায়, শুধু মরিচ আর মরিচ।
কেউ জমি থেকে পাকা মরিচ তুলছেন, আবার কেউ পলিথিন বিছিয়ে শুকাতে দিচ্ছেন মরিচ। পঞ্চগড়ের প্রায় সর্বত্রই এখন এমন দৃশ্য।
জেলার অন্যতম বড় মরিচ শুকানোর মাঠ আটোয়ারি উপজেলার মির্জাপুর মাঠ। বিশাল এই মাঠে কয়েক হেক্টর জমির মরিচ একসঙ্গে শুকানো হয়ে থাকে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে, পঞ্চগড়ে চলতি বছর মোট ১০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে দেশীয় জাতসহ বাঁশ গাইয়া, জিরা, মল্লিকা, বিন্দু, হটমাস্টারসহ বিভিন্ন হাইব্রিড জাতের মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার আমলাহার গ্রামের মরিচ চাষি আব্দুল মজিদ জানান, গত বছরের চেয়ে এবার মরিচের ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর প্রতি মন পাঁচ হাজারের বেশি টাকা দরে বিক্রি হলেও এবার মরিচ বিক্রি হচ্ছে চার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকায়। অন্যদিকে করোনার কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যবসায়ীও আসছেন কম। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো দাম পেলে লাভবান হতে পারব বলে আশা করছি।
জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি গাছপাকা মরিচ তুলতে শ্রমিককে দিতে হয় ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর প্রায় চার কেজি গাছপাকা মরিচ থেকে শুকনা মরিচ হয় এক কেজি।
পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মিজানুর রহমান বলেন, বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর মরিচে রোগবালাই নেই বললেই চলে, তাই মরিচের ফলন ভালো হয়েছে।
এবার আমাদের হিসাব অনুযায়ী জেলায় ১০ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার টন মরিচ উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।