বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
পঞ্জশির উপত্যকায় ঢোকার মুখেই তালিবানকে ধাক্কা দিয়েছে বলে দাবি করল আহমেদ মাসুদের বাহিনী। ওই এলাকার উদ্দেশে তালিবানের কয়েকশো জঙ্গি রওনা দিয়েছে বলে খবর ছিল। প্রায় পুরো আফগানিস্তান কব্জায় আনলেও পঞ্জশির তাদের হাতের বাইরে রয়ে গিয়েছে। মরিয়া তালিবান আরবি ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে জানিয়েছিল, ইসলামি আমিরশাহির কয়েকশো মুজাহিদ পঞ্জশির নিয়ন্ত্রণে আনতে সেদিকে এগচ্ছে। কেননা এলাকার সরকারি নেতারা শান্তিপূর্ণ ভাবে পঞ্জশিরের হস্তান্তরে রাজি হয়নি। কিন্তু তারা চরম প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। তালিবানের কনভয় ধ্বংস করে দেওয়ার ভিডিও প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। সেটি উপত্যকায় ঢোকার চেষ্টা করছিল।
কাবুলের উত্তরের পঞ্জশির তালিবান-বিরোধী ঘাঁটি বলে বরাবর পরিচিত। এবারও তালিবান বিরোধী যতটুকু প্রতিরোধ হচ্ছে, তা পঞ্জশিরকে কেন্দ্র করেই। প্রয়াত প্রবাদপ্রতিম আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ ও কিছু প্রাক্তন সরকারি সেনাবাহিনীর জওয়ান প্রতিরোধে সামিল হয়েছেন। দিনকয়েক আগে মাসুদ ও আরেক কট্টর তালিবান বিরোধী আমরুল্লাহ সালের বৈঠকে ঠিক হয়, তীব্র তালিবান বিরোধী লড়াই হবে। তালিবান-বিরোধী জোট গড়েন তাঁরা।
তালিবান-বিরোধী বাহিনীর জনৈক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তালিবান বিদ্যুত্ বেগে কাবুলে ঢুকে আফগানিস্তান দখলের পর থেকে কয়েক হাজার লোক পঞ্জশির রওনা হয়েছেন। আলি মাইসাম নাজারি নামে ওই মুখপাত্রের দাবি, আহমেদ মাসুদ তালিবানের মোকাবিলায় প্রায় ৯ হাজার মানুষের বাহিনী জড়ো করতে চান।
তাঁর বাবা আহমেদ শাহ মাসুদকে ২০০১ এর ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় ভয়াবহ বিমান হামলার দুদিন আগে খতম করেছিল আল কায়দা। সংবাদ সংস্থার তোলা ছবিতে দেখা গিয়েছে, তালিবান বিরোধী শিবিরের ডজনের পর ডজন নতুন রিক্রুট হওয়া সদস্য শারীরিক কসরত্ করছে, হাতেগোনা কয়েকটি হামভি ছোটাছু়টি করছে পঞ্জশিরে।
রবিবার খোদ মাসুদ সৌদি আরবের আল-আরাবিয়াকে বলেন, বিভিন্ন আফগান প্রদেশ থেকে সরকারি বাহিনী পঞ্জশিরে এসেছে। এই রাস্তায় চললে তালিবান বেশিদিন টিঁকতে পারবে না। আফগানিস্তান রক্ষায় আমরাও প্রস্তুত। রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে, বলে রাখছি।
এদিকে তালিবান স্বীকৃতি পাওয়ার লক্ষ্যে পঞ্জশির অভিযানের পাশাপাশি আলোচনাও চাইছে। কাবুলে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূতকে দায়িত্ব নিতে বলেছে তারা। রাষ্ট্রদূতই গতকালই বিবৃতি দিয়ে জানান, তালিবান তাঁকে আলোচনায় বসতে চায় বলে জানিয়েছে। তারা নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গেও বসতে চায়। সব মিলিয়ে তালিবানও চাপে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।