বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জ: ৩৪তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৫ কিলোমিটারের বেশি দৃশ্যমান হল। রবিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ‘২এ’ নম্বর স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ৭ ও ৮ নম্বর খুঁটির ওপর স্থাপন করা হয়।
৩৩ তম স্প্যান বসানোর এক সপ্তাহের মধ্যে স্প্যানটি বসানো হল। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দ্বিতল পদ্মা সেতুতে ৪২টি খুঁটির ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।
এর আগে ১৯ অক্টোবর ৩ ও ৪ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৩ নম্বর স্প্যানটি বসানো হয়। ১১ অক্টোবর ৪ ও ৫ নম্বর খুঁটির ওপর ৩২তম স্প্যানটি স্থাপন করা হয়েছিল। চলতি মাসে এ পর্যন্ত তিনটি স্প্যান খুঁটির ওপর স্থাপন করা হল।
আগামি ৩০ অক্টোবর মাওয়ায় পদ্মা তীরে ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৫তম স্প্যান স্থাপন করার কথা রয়েছে। অপর ছয়টি স্প্যান এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে খুঁটির ওপর উঠে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, গতকাল শনিবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতার ‘তিয়ান ই’ ভাসমান ক্রেনে করে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ও ৩ হাজার ১৪০ টন ওজনের ‘টু-এ’ নামের স্প্যানটি নির্দিষ্ট পিলারের কাছে যায়। কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের দূরত্ব খুব বেশি না থাকায় অল্প সময়ের মধ্যে স্প্যানটি পৌঁছে যায়। খুঁটির কাছে নোঙর করা হয় ভাসমান ক্রেনটি। তবে সময়স্বল্পতা এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে স্প্যানটি বসানো যায়নি। পদ্মা নদীর তলদেশের মাটি উচুঁ-নিচু। তাই নোঙর করা স্প্যানটি বসাতে একটু সমস্যা হচ্ছিল।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত সার্ভে করা হয়। পরে ৮টা থেকে স্প্যানটি তোলার কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টা ৪ মিনিটে স্প্যানটি সফলভাবে বসানো হয়।
মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) এবং নদীশাসনের কাজ করছে সেদেশের অপর প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
দুটি সংযোগ সড়ক ও অবকাঠামো নির্মাণ করেছে বাংলাদেশের আবদুল মোমেন লিমিটেড। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ৩০ অক্টোবর ৮ ও ৯ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৫ তম স্প্যান (স্প্যান ২-বি), ৪ নভেম্বর ২ ও ৩ নম্বর খুঁটিতে ৩৬ তম স্প্যান (স্প্যান ১-বি), ১১ নভেম্বর ৯ ও ১০ নম্বর খুঁটিতে ৩৭ তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর খুঁটিতে ৩৮ তম স্প্যান (স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটিতে ৩৯ তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০ তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও সবশেষ আগামী ১০ ডিসেম্বর ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর ৪১ নম্বর স্প্যানটি (স্প্যান ২-এফ) বসানোর কথা রয়েছে। সবগুলো স্প্যান মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে আছে।
২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।