Home First Lead পদ্মা সেতুতে রেলপাত বসানো শুরু হল

পদ্মা সেতুতে রেলপাত বসানো শুরু হল

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা:পদ্মা সেতুতে রেললাইন বসানোর কাজ আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। এদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে রেললাইন বসানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

আগামী বছরের জুনে পদ্মা সেতু দিয়ে রেল চলাচল শুরুর লক্ষ্যে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সেতুতে রেলের কাজ চলমান থাকাকালে সেতুদিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক অর্থাৎ ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের যান চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে পদ্মা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের  নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়,গত ১৪ অক্টোবর ২০১৮ সালে ১৭২ কিলোমিটরি দীর্ঘ পদ্মা সেতু রেল সংযোগ এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলওয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় চীনভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ লিমিটেড এর নির্মাণ কাজ করছে। প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার এই প্রকল্পের ঠিকাদার চীনের চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি)। এটি চায়না রেলওয়ে গ্রুপেরই একটি প্রতিষ্ঠান। কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্ট হিসেবে এর প্রয়োজনীয় তদারকি ও পরামর্শ সেবা প্রদান করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এ প্রকল্পে নির্মিত হচ্ছে ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রডগেজ লাইন, ২৩.৩৮ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট, ২৭৪টি মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট, ৩০টি লেভেল ক্রসিং, ১৩১টি আন্ডারপাস, ৫৮টি মেজর ব্রিজসহ ২০টি আধুনিক স্টেশন। প্রকল্পটিতে ৪৩.২ কিলোমিটার লুপ এবং সাইডিং লাইনও রয়েছে। যা নিয়ে মোট রেল ট্রাকের দৈর্ঘ্য ২১৫.২ কিলোমিটারে পৌঁছেছে। দেশে উড়াল ও লেভেলক্রসিংবিহীন প্রথম রেললাইন এটি। এই প্রকল্পের ২৩ কিলোমিটার হবে পাথরবিহীন এলিভেটেড বা উড়াল রেলপথ। ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতির ব্রডগেজ এ লাইন ঢাকার সাথে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার সাথে ট্রেন যোগাযোগ স্থাপন করবে।
পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে সেকশন-১ ঢাকা থেকে মাওয়া ৪০ কিলোমিটার অংশ, সেকশন-২ মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ৪২ কিলোমিটার অংশ এবং সেকশন-৩ ভাঙ্গা থেকে যশোর ৮৭ কিলোমিটার অংশ। শুরুতে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা অংশে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চালুর দিনই ট্রেন চলাচল শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় পরিকল্পনা পরিবর্তন করে ঢাকা থেকে ভাঙা পর্যন্ত অংশ ২০২৩ সালের জুনে চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্প অর্থাৎ ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করার কথা।