বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: আজ শনিবার সকালে এক বর্ণাঢ্য উৎসবের মধ্যদিয়ে উদ্বোধন করা হবে বাংলাদেশের টাকায় তৈরি বাংলাদেশের মানুষের মর্যাদা ও সক্ষমতার প্রতীক পদ্মাসেতু। আজ সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মার মাওয়া প্রান্তে সুধী সমাবেশে উদ্বোধন ঘোষনা করবেন।
এখন বর্ণিল উদ্বোধনের অপেক্ষায় পদ্মা সেতু। সেতুজুড়ে জ্বলবে জাতীয় পতাকার আদলে লাল-সবুজ বাতি। সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে এপারের মুন্সীগঞ্জ ও ওপারের শরীয়তপুর-মাদারীপুর জেলা প্রশাসনেও সাজ সাজ রব।
উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন সংক্রান্ত সকল অনুষ্ঠান এবং আয়োজন সমন্বয় করবে ঢাকা বিভাগীয় প্রশাসন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সারাদেশে একযোগে উদযাপনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসককে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সকালে প্রধানমন্ত্রী প্রথম মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সুধি-সমাবেশ করবেন। সেতু উদ্বোধন করে সমাবেশে অংশ নেবেন। এরপর গাড়িতে চড়ে সেতু পার হয়ে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে আরেকটি উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন। পরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীতে জনসভায় বক্তব্য দেবেন। এ জন্য পুরো সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
উদ্বোধনকে ঘিরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। সরকারের মূল আয়োজন থাকবে পদ্মার দুই পাড়ে।
সেতুর স্থলে দুটি ম্যুরাল স্থাপন করা হয়েছে। একটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং অপরটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে উদ্বোধনী ফলক।
পুরো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি সরকারি উদ্যোগে রাজধানীর হাতিরঝিলে বড় পর্দায় দেখানো হবে।
অনুষ্ঠান নিয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন। মন্ত্রণালয় থেকে গঠন করা হয়েছে ১৮টি উপকমিটি। অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সমাজের বিশিষ্টজন, ঢাকাস্থ বিভিন্ন মিশনের কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় নিয়োজিত স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কর্মকর্তারা প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ মাসের শুরুর দিকে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খোন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে খুবই জমকালো। মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ৬৪টি জেলাতেও দেখানোর ব্যবস্থা থাকবে।