Home কৃষি পল্লী কর্মসংস্থানে পাঁচবিবির জাকস ফাউন্ডেশন

পল্লী কর্মসংস্থানে পাঁচবিবির জাকস ফাউন্ডেশন

জয়পুরহাট থেকে খোকন হোসেন জাকির: দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ও শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিভাগের মাধ্যমে সরকারের পাশাপাশি ”জাকস ফাউন্ডেশন” সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।

পল্লী অঞ্চলের মানুষের উন্নয়নে লাভজনক বিভিন্ন কর্মসুচী বাস্তবায়ন করছে জাকস। পতিত জমিতে সবজিবাগান, বাহারী (রঙ্গীন) মাছচাষ ও বিদেশী পেকিন হাঁস লালন-পালন তাদের অন্যতম কর্মসূচি।  জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। লাভজনক কর্মসুচী হওয়ায় অনেকেই এগিয়ে আসছে এ কার্যক্রমে।

জাকসের প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জহুর আলী বলেন, পিকেএসএফের আর্থিক সহায়তায় জাকস এসব কর্মসুচী বাস্তবায়ন করছে।


উপজেলার কড়িয়া গ্রামের রাজমিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালান জাহিরুল ইসলাম। আবাদী জমি-জমা না থাকায় সংসার তেমন সচ্ছল নয়। তার সংসারে প্রায় অভাব-অটন লেগেই থাকে। জহিরুলের ৮ শতক জমির ৪’শতকে বাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। বাড়ি করার পর ৪ শতক জায়গা তার অনেক দিন পতিত ছিল। তিনি জানান, জাকসের কর্মকর্তার পরামর্শে আমার স্ত্রী বাড়ির চারপাশের পতিত জায়গায় সবজিবাগান করে। স্বামী-স্ত্রী মিলে সবজিবাগানে লালশাক, পুইশাক, কলমিশাক, ঢ়েড়স, কুমড়াসহ বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়েছি।

জাহিরুলের স্ত্রী বলেন, বাগানের সবজি প্রতিনিয়ত আমরা রান্না করে খাই এবং অতিরিক্তগুলো বাজারে বিক্রয় করি। এতে সংসারে আমাদের বাড়তি আয় হয়।

উপজেলার পারুইল গ্রামের বায়েজিদ হোসেন একজন গরু ব্যবসায়ী। ব্যবসায় লোকসান করে অনেক দিন বাড়িতে বসেই ছিলেন। নিজের তেমন কোন আবাদী জমি নেই এবং আয়ের তেমন কোন পথও ছিলনা। তাই  সংসারে অভাব লেগেই থাকত। আমার স্ত্রী ফাতেমা জাকস সমিতি থেকে ৫০টা বিদেশী হাঁসের বাচ্চা নিয়ে বাড়িতে খামার করে। আমরা দু’জনে মিলে হাঁসগুলো ৫ মাস লালন-পালন করলাম। হাঁসগুলো প্রতিদিন এখন ১৫-২০টি ডিম দেয় । এতে সংসারে সচ্ছলতা ফিরেছে।

সদর উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার শিক্ষিত যুবক এমরান বিদেশী মাছের খামার করে ভাগ্য বদল করেছেন। তার ৩টি খামার হয়েছে সেখানে ৭ থেকে ১০ যুবক কাজ করে সংসার চালাচ্ছেন। অনেকেই তার নিকট থেকে পরামর্শ নিয়ে রঙ্গীন মাছচাষে এগিয়ে এসেছেন। যেএমরান একদিন চাকরির পেছনে দৌড়িয়েছে তিনিই এখন এলাকায় অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছেন।

উউপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, সরকারের পাশাপাশি অনেক এনজিও বিভিন্ন কর্মসুচী হাতে নিয়েছে। দেশের উন্নয়নে তারাও সহায়ক ভুমিকা পালন করছেন।