বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
একজন পাইলট সাধারণত ছোট-বড় বিভিন্ন যাত্রীবাহী বা কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করেন। একটি বিমানে সাধারণত দুই ধরনের পাইলট প্রয়োজন হয়- ক্যাপ্টেন ও কো-পাইলট। তারা বিমানের মূল নিয়ন্ত্রণ, এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ এবং যাত্রী ও ক্রুদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবার কাজ করে থাকেন। অবশ্য বিমানবাহিনীতে নিযুক্ত পাইলটদের কাজের ধরন আলাদা।
পাইলটের যেসব যোগ্যতা থাকতে হয় তা হলো-
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ স্বীকৃত অ্যাভিয়েশন ইনস্টিটিউট থেকে কোর্স সম্পন্ন করার পর লাইসেন্স নিতে হবে।পাইলট হতে হলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানসহ উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা আবশ্যক।
বয়সঃ সাধারণত বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে।
অভিজ্ঞতাঃ যেহেতু এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ পেশা, সেহেতু অভিজ্ঞ পাইলটদের প্রাধান্য বেশি।
পাইলটের যেসব দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হয়তা হলো -গণিত ও পদার্থবিদ্যা নিয়ে ভালো জ্ঞান।
ভূগোল ও কো-অর্ডিনেশন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা।
বিমান বিষয়ক তথ্য ও প্রযুক্তি সহজে বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে।
কারিগরি জ্ঞান অর্জনে পারদর্শিতা।
যোগাযোগের দক্ষতা।কেবিন ক্রু ও যাত্রীদের স্পষ্ট নির্দেশনা দিতে পারা।
কঠিন পরিস্থিতিতে দ্রুত ও সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা।
মানসিক চাপ সামলে ধৈর্য রাখতে পারা।নেতৃত্ব দানের ক্ষমতা ইত্যাদি।
বিমান চালনা যেখানে শিখবেন – বাংলাদেশে পাইলট হবার ট্রেনিং নেবার জন্য কিছু ভালো অ্যাভিয়েশন ইন্সটিটিউট আছে। এছাড়া দেশের বাইরেও বিভিন্ন ফ্লাইং ট্রেনিং একাডেমি রয়েছে। এগুলো থেকে কোর্স নিয়ে সফলভাবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লাইসেন্স পেলে এ পেশায় সহজেই যুক্ত হতে পারেন। উল্লেখ্য যে, দক্ষতা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পাইলটদের জন্য বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স রয়েছে।
বাংলাদেশ বিমানবাহিনী অ্যাকাডেমিতে আড়াই বছরের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এরপর একজন পাইলট বিমানবাহিনীর বিমানচালনার জন্য উপযুক্ত হন।
কেমন আয় হবে একজন পাইলটের -এ পেশায় আকর্ষণীয় অর্থ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে দেশীয় বিমান সংস্থায় কো-পাইলটের মাসিক আয় ৳৭৫,০০০ থেকে ৳১০০,০০০ বা তার বেশিও হতে পারে। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এ আয়ের পরিমাণ আরো বেশি।এ পেশায় আয় হয় প্রতি ফ্লাইটের হিসাবে, মাসিক ভিত্তিতে নয়। কাজের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে আপনার আয় ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এ পেশায় ফার্স্ট অফিসার বা কো পাইলট হিসেবে যোগদান করার মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু হবে। দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন পদে উন্নীত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে অথবা আরো বড় এয়ারক্রাফট চালানোর দায়িত্ব পাওয়া যায়।