বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে তদন্ত, বিচার করতে না পারায়, তাদের পরামর্শগুলি রূপায়ণে ব্যর্থ হওয়ায় গত সপ্তাহে পাকিস্তানকে ‘ধূসর তালিকা’তেই ফেলে রাখে ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফ।
এবার পাকিস্তানের ওপর চাপ বাড়িয়ে এফএটিএফের বলে দেওয়া পদক্ষেপগুলি মানতে বলল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সন্ত্রাসবাদ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেনের বিরুদ্ধে লড়াই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছে ইইউ।
এফএটিএফ প্রেসিডেন্ট ডঃ মার্কাস প্লেয়ার গত সপ্তাহেই জানিয়ে দেন, ২০১৮র জুনে যে মৌলিক অ্যাকশন প্ল্যান ঠিক হয়েছিল, তার সবকটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া এই নজরদারি গোষ্ঠীর আঞ্চলিক শরিক এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ ২০১৯ এ যে সমান্তরাল অ্যাকশন প্ল্যান দিয়েছিল, তারও সব কটি ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হবে। তা না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান ধূসর তালিকাতেই থাকবে।
পাক মিডিয়া গোষ্ঠী জিও নিউজের খবর, সন্ত্রাসবাদে অর্থ বিনিয়োগ ও বেআইনি আর্থিক লেনদেন ঠেকানোই ইউরোপীয় গোষ্ঠীর শীর্ষ অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশন মুখপাত্র ড্যানিয়েল ফেরি।
এফএটিএফের পাকিস্তানকে ধূসর তালিকাতেই রাখার সিদ্ধান্তের নিন্দা করে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি গত রবিবার বলেন, এটা টেকনিক্যাল সিদ্ধান্ত হলে তাঁর দেশ সাদা তালিকায় ঢুকে পড়ত। তাঁকে উদ্ধৃত করে পাক মিডিয়া বলেছে, এখন এফএটিএফ সদস্যদের, বিশ্বকে স্থির করতে হবে এটা কি টেকনিক্যাল না রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মঞ্চ।
কুরেশির মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইইউ মুখপাত্রটি সাফ বলেন, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের বাগাড়ম্বর করা উচিত নয়। এমন মন্তব্যে শুধু উল্টো ফলই হবে না, পাকিস্তানের স্বার্থেরও ক্ষতি হবে। আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আমাদের গৃহীত ব্যবস্থার অনেকগুলিই শুধু ইইউ নয়, গোটা বিশ্বের কাছেই জরুরি।