বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
যে কোনও যৌন নিগ্রহের মামলায় বিচার হবে দ্রুত। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলেই করা হবে কেমিক্যাল কাসট্রেশন। অর্থাৎ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ধরনের রাসায়নিক ধর্ষণকারীর দেহে ভরে দেওয়া হবে। তার ফলে পুরুষত্ব হারিয়ে ফেলবে সেই ব্যক্তি। মঙ্গলবার পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম এই খবর জানিয়েছে।
নারী নিগ্রহ বন্ধ করার জন্য সম্প্রতি পাকিস্তানের আইনমন্ত্রক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একটি খসড়া অর্ডিন্যান্স পেশ করে। তাতেই ধর্ষণকারীকে কেমিক্যাল ইঞ্জেকশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। পাকিস্তানের জিও টিভি বলেছে, এবার থেকে পুলিশে আরও বেশি সংখ্যক মহিলাকে নিয়োগ করা হবে। ধর্ষণের মামলার নিষ্পত্তি হবে দ্রুত। সাক্ষীকে নিরাপত্তা দেবে সরকার। ইমরান খান বলেছেন, “আমরা প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে দায়বদ্ধ।” ধর্ষণের বিরুদ্ধে নতুন যে আইন হবে, তাতে কোনও অস্বচ্ছতা থাকবে না। ধর্ষকের কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। ধর্ষিতা পুলিশে অভিযোগ জানালে তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।
জিও টিভি জানিয়েছে, কয়েকজন মন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ধর্ষণকারীদের প্রকাশ্যে ফাঁসি দেওয়া হোক। ইমরান খান বলেন, ধর্ষকদের প্রথমে কেমিক্যাল ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে। পরে আরও কড়া শাস্তিরও ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পাকিস্তানের শাসক তেহরিক ই ইনসাফ দলের সেনেটর ফয়জল জাভেদ খান টুইটারে বলেন, ধর্ষণের বিরুদ্ধে শীঘ্র একটি আইন পেশ করা হবে সংসদে।
সম্প্রতি পাকিস্তানে নানা মহলে ধর্ষণের বিরুদ্ধে আইন আরও কড়া করে তোলার দাবি উঠেছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে লাহোরে এক সাত বছরের বালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এরপর লাহোরে আর এক তরুণী গণধর্ষিতা হন। এই দু’টি ঘটনায় পাকিস্তানে জনরোষ সৃষ্টি হয়।
সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ নামে একটি সংগঠন জানায়, পাকিস্তানে প্রতি দু’ঘণ্টায় একজন মহিলা ধর্ষিতা হন। প্রতি ঘণ্টায় একজন মহিলা গণধর্ষিতা হন। উইমেনস অ্যাকশন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আসমা জাহাঙ্গির জানিয়েছেন, পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলে যে মহিলারা বন্দি আছেন, তাঁদের ৭২ শতাংশই যৌন নিগ্রহের শিকার।
কিছুদিন আগে ইমরান খান সংসদে জানান, যৌন নিগ্রহ বন্ধ করতে শীঘ্র সরকার তিনটি আইন আনবে। তাতে দ্রুত ধর্ষণকারীকে চিহ্নিত করা, তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া ও নারী নিগ্রহ রুখতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানোর ব্যবস্থা থাকবে।