বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ: ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে। এটাই এযাবৎকালে সর্বোচ্চ পাওয়া। এ ছাড়া পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১০টায় গণনা শেষে এতথ্য জানা গেছে।
সকাল সাড়ে সাতটায় তা শুরু হয়েছে। দু’শতাধিক ব্যক্তি গণনায় নিয়োজিত ছিলেন। ৩ মাস ২০ দিন পর শনিবার মসজিদের ৯টি সিন্দুক খোলা হয়েছে। সেখানে পাওয়া মুদ্রা ও গহনা ২৩টি বস্তায় ভর্তি করা হয়েছে। তারপর একটি করে বস্তা খুলে গণনা করা হয়েছে। পাওয়া গেছে বৈদেশিক মু্দ্রা, সোনা ও রূপার গহনা।
মানুষ নানা উদ্দেশ্যে এই মসজিদে দান করেন। কথিত রয়েছে যে, এ মসজিদে দান করলে মনের বাসনা পূরণ হয়। মুশকিল আসানসহ মিলে রোগ-ব্যাধি থেকে মুক্তি। এই বিশ্বাস থেকে স্থানীয়রা ছাড়াও দূর-দূরান্তের মানুষও পাগলা মসজিদে দান করতে ছুটে আসেন। দান করেন টাকাপয়সা, স্বর্ণালংকার, গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফল-ফলাদি, কোরআন শরিফ ইত্যাদি । টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার মসজিদের দানসিন্দুকগুলোতে জমা পড়ে। অন্যদিকে গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি, ফল-ফলাদি, কোরআন শরিফ ইত্যাদি নিলামঘরে জমা দিতে হয়। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ দান সিন্দুকে নগদ টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার দান করা ছাড়াও মসজিদের নিলামঘরে নানা ধরনের জিনিসপত্র দান করেন।
দানের অর্থ পাগলা মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল পাগলা মসজিদের টাকা থেকে।