- বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ কাজে লাগাতে হবে
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় পরিচালনায় আহ্বান জানিয়েছে পাট সূতা বস্ত্রকল শ্রমিক কর্মচারি সংগ্রাম পরিষদ।
শনিবার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানানো হয়। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনের আহ্বায়ক সহিদুল্লাহ চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৮ জুন সরকার লোকসানের কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকলগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছে। এতে প্রায় ৫১ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। লোকসানের কারণ হিসেবে শ্রমিকদের উচ্চ মজুরিকে দায়ী করা হয়েছে। অথচ কেন লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে তা দিবালোকের মত স্পষ্ট। দক্ষতা ও উৎপাদন না বাড়িয়ে কোন প্রতিষ্ঠান টিকতে পারে না। অদক্ষ প্রতিষ্ঠানের ওপর ভর করে বছরের পর বছর টিকিয়ে রাখা হয়েছে আমলাতন্ত্র। এর বেতন ভাতা টেনে চলেছে এই শিল্প।
আরও জানানো হয়, বিজেএমসি পরিচালিত ২২ টি কারখানায় ১০,৮৩৫টি তাঁত। আধুনিক ও স্বয়ংক্রিয় তাঁতের তুলনায় এগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা কম। পুরনো হওয়ায় উৎপাদন ক্ষমতা কমে গেছে আরও। নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করলে ক্ষমতা ৬০ ভাগ বেড়ে যাবে। আর তা করা হলে শুধু হেসিয়ান তাঁত থেকে আসবে ১৩০০ কোটি টাকা । সেকিং সিবিসি থেকে আসবে এক হাজার কোটি টাকা। তাতে বিজেএমসি আত্মনির্ভরশীল প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে পাটপণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান, আসলাম খান, মো. মছিউদদৌলা, দিদারুল আলম চৌধুরী, কেএফডি শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল করিম, ভিজেপি শ্রমিক নেতা দিলীপ নাথ, ফয়েজ আহাম্মদ, আমিন জুট মিল শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, আমিন পাটকল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম, আমিন পাটকল শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়নের সফিকুল ইসলাম, এশিয়াটিক কটন মিলস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ, এশিয়াটক কটন মিলস শ্রমিক লীগের সভাপতি যদু মোহন দাশ এবং এশিয়াটিক কটন মিলস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. আলী।