কুড়িগ্রাম থেকে নয়ন দাস: আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানির অভাবে পাট পঁচাতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হলেও বাজারে পাটের দাম বেশি থাকায় পাট চাষীদের মুখে সোনালী হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে। কম সময়ে,স্বল্প খরচে, অধিক লাভের আশায় পাট চাষের দিকে ঝুঁকছে উপজেলার অধিকাংশ কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে দেশীয়,তোষা জাত ও অন্যান্য জাতের মোট ২ হাজার ৫৮৭ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পাট কাটা,পাতা ঝরানো , জাগ দেয়া, ধোয়া ও শুকানোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
মাঠে যেমন কৃষক ব্যস্ত তেমনি বাড়িতে মহিলারাও পাট খড়ি শুকাতে ব্যস্ত। নিজেদের পাশাপাশি অনেকেই পাট কাঠির বিনিময়ে অন্েযর পাট ছাড়িয়ে দিচ্ছেন।
চাষিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে সব মিলে খরচ হয় ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘা প্রতি প্রায় ১০ মণ পাট পাওয়া যায়।
১০ আগস্ট ( মঙ্গলবার ) সকালে ভূরুঙ্গামারী হাট ও সোনাহাট ব্রীজ পাড় পাট হাটে গিয়ে দেখা যায় প্রকার ভেদে প্রতিমণ পাট ২ হাজার ৮০০ টাকা হতে ৩ হাজার ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পাটের ভালো ফলন ও দাম পেয়ে চাষিদের মুখে ফুটে উঠেছে স্বপ্ন পূরণের হাসি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন কৃষি ভর্তুকী ও সরকারি প্রণোদনা কৃষকদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ায় তারা পাট চাষে আরও বেশি আগ্রহী হয়েছে। কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ে দেখাশোনা করায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে।