বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মানবপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে কুয়েতে আটক সাংসদ কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনে জড়িত থাকার অভিযোগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
পাপলুকে আর্থিক লেনদেনে সহায়তা দেয়া এবং ঘুষ গ্রহণে জড়িত থাকার দায়ে মাজেন আল-জারাহকে বরখাস্ত করা হয় ইতিপূর্বে। ঘুষের বিনিময়ে পাপুলের বেশ কিছু কাজ দ্রুত অনুমোদন করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে মেজর জেনারেল মাজেন আল-জারাহর বিরুদ্ধে । সে সময় তিনি কুয়েতের নাগরিকত্ব, পাসপোর্ট ও বসবাসের অনুমতি বিষয়ক দপ্তরের অ্যাসিসট্যান্ট আন্ডার সেক্রেটারি ছিলেন।
ঐ জেনারেলের বিরুদ্ধে তদন্ত হয়। তদন্তে পাপুলের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ নেয়ার অভিযোগের সত্যতা মেলায় গ্রেফতার করা হলো তাকে।
পাপুল ২৩ হাজারের বেশি কর্মীর এন্ট্রি ভিসার অনুমোদনের জন্য যাদের ঘুষ দেওয়ার কথা রিমান্ডে বলেছিলেন, তাদের মধ্যে মাজেন আল-জারাহ একজন।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য পাপুলকে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মারাফি কুয়েতিয়া কোম্পানির অন্যতম মালিক পাপুলের সেখানে বসবাসের অনুমতি রয়েছে।
পাচারের শিকার ৫ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ এনেছে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে রাখা হয়েছে কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।