বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি,
ঢাকা: পাম তেল আমদানিতে ভারতের বিধি-নিষেধে মালয়েশিয়া অর্থনৈতিকভাবে বড় ধাক্কার মুখে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দেশটিও তৎপর।
বিশ্বে পাম তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎপাদনকারী দেশ মালয়েশিয়া। আর সর্বোচ্চ আমদানিকারক দেশ ভারত। তেল ছাড়া আরও কিছু পণ্য সেখান থেকে আমদানি করে। রপ্তানিও করে বিভিন্ন পণ্য। রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি। ২০১৮ সালে রপ্তানি করে ৬.৪ বিলিয়ন ডলারের। আমদানি হয় ১০.৮ বিলিয়ন ডলারের। এ সময়ে কেবল পরিশোধিত পাম তেল এবং পাম অলিন আমদানি করা হয়েছে ৫.১ বিলিয়ন ডলারের। পরিশোধিত পাম তেল আমদানি ছিল তাদের ফ্রি তালিকায়।
কাশ্মীর ইস্যু এবং নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভারতের সমালোচনা করেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ৷ তাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষুব্ধ হন। পরিশোধিত তেল আমদানিতে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। আরও আগে থেকে মালয়েশিয়ার কোম্পানিগুলোর সাথে চুক্তি নবায়ন বন্ধ করে দেয়া হয়। অপরদিকে, ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানিসমূহের সাথে চুক্তি বাড়ানো হচ্ছিল।
ভারত অশোধিত তেল আমদানি করে মালয়েশিয়া থেকে। পরিশোধিত তেলে বিধি নিষেধের ফলে ইন্দোনেশিয়ার ব্যবসা আরও বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে অশোধিত পাম তেল আমদানি করে ভারত। ২০১৮ সালে আমদানি করেছে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিশোধিত তেল আমদানি বন্ধ করে দেয়ায় মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে বড় আঘাত লাগবে। তবে, ভারতের কোন সমস্যা হবে না। কারণ, তেলের জন্য তাদের বিকল্প উৎস রয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
পরিস্থিতি সামলাতে মালয়েশিয়াও তৎপর হয়ে উঠেছে। তাদের শিল্প মন্ত্রী গত সপ্তাহে ছুটে গেছেন পাকিস্তানে। দেশটি তাদের তেলের নিয়মিত ক্রেতা। আহ্বান জানিয়েছেন আমদানি বাড়ানোর। অনুরূপ আরও ক্রেতা দেশের সাথে তারা কুটনৈতিক যোগাযোগ করছে তেলের বিক্রি বাড়াতে।
ভারতের বিধি-নিষেধের পর থেকে মালয়েশিয়ার পাম তেলের বাজার নিম্নমুখী। গত ৩ সপ্তাহের মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে কম।