Home First Lead পাম অয়েল ও চিনির দাম কমানোর সুপারিশ

পাম অয়েল ও চিনির দাম কমানোর সুপারিশ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বাংলাদেশ ট্যারিফ অ্যান্ড ট্রেড কমিশন (বিটিটিসি) বাজার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে পাম অয়েল ও চিনির দাম কমানোর সুপারিশ করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে কমিশন জানিয়েছে যে পাম তেলের দাম লিটার প্রতি ১২ টাকা কমানোর সুযোগ আছে।  চিনির দাম কেজিতে ৪ টাকা কমানো উচিত। তবে, সয়াবিন তেলের বাজার মূল্য যৌক্তিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে তাদের সুপারিশে।

টিসিবির মঙ্গলবারের বাজারদরের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি লিটার ভালো মানের পাম অয়েল (সুপার) ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আরেক ধরনের পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটার ১২৬ থেকে ১৩৫ টাকা। গত ২৩ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সুপার পাম অয়েলের দাম প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করে। ট্যারিফ কমিশন প্রতি লিটার সুপার পাম অয়েলের দাম সর্বোচ্চ ১৩৩ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।

প্রতি কেজি চিনি ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর সর্বশেষ চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বেচাকেনা হচ্ছে। কমিশন প্রতি কেজি খোলা চিনি সর্বোচ্চ ৮৪ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি সর্বোচ্চ ৮৮ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে।

 নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের দাম এককভাবে বেঁধে দেয়ার উদ্যোগ থেকে সরে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ভোজ্যতেল, চিনি, রড ও সিমেন্টের দাম নির্ধারণ করে দেবে মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। আর তথ্য-উপাত্ত না পাওয়ায় রড ও সিমেন্টের দাম নির্ধারণে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় ৯টি পণ্যের মধ্যে দুটির দাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। রড ও সিমেন্টের দাম নির্ধারণে আরও সময় দরকার। অন্য ৫টি পণ্যের দাম নির্ধারণে সিদ্ধান্ত দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়।

ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশে বলা হয়, পাম তেলের দাম ১৪৫ টাকা লিটার নির্ধারণ করা আছে। এই ভোজ্যতেলের দাম লিটারে অন্তত ১২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।

বিশ্ব বাজারে সয়াবিন তেলের দামে তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে পাম তেলের দাম কমে এসেছে। তাই এই তেলের দাম স্থানীয় বাজারে কমানোর সুযোগ আছে। আর সয়াবিন তেল যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা যৌক্তিক।

২৩ আগস্ট প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেঁধে দেয়া হয় ১৭৫ টাকা। ৫ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম করা হয় ৯৪৫ টাকা। আর এক লিটার খোলা পাম তেলের দাম ধরা হয় ১৪৫ টাকা।

বিটিটিসির হিসাব অনুযায়ী সয়াবিন, পাম, রাইস ব্রান ও সরিষার তেল মিলিয়ে দেশে প্রায় ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এই চাহিদার বেশিরভাগই পাম তেল, ১৩ লাখ টন। এরপরই সয়াবিনের চাহিদা পাঁচ লাখ টন। বাকিটা সরিষা, রাইস ব্রানসহ অন্যান্য ভোজ্যতেল।

গত ৩১ জুলাই বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, চাল, মসুর ডাল, চিনি, আটা, ময়দা, ভোজ্যতেল (সয়াবিন ও পাম অয়েল), ডিম, রড, সিমেন্টের দাম বেঁধে দেওয়া হবে। এসব পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য ট্যারিফ কমিশনকে এসব পণ্যের যৌক্তিক দর কী হওয়া উচিত তা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরের দিন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কৃষিজাত পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া ঠিক হবে না।