বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ( এডিবি ) বোর্ড সভা বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়ন প্রকল্পে আরো ১৭ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে।
এ অর্থ ব্যয় হবে পুঁজিবাজার উন্নয়ন কর্মসূচির তৃতীয় ধাপ বাস্তবায়নে। এডিবির আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ তাকুয়া হোশিনো এ বিষয়ে উল্লেখ করেন, এডিবি বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আইনী সংস্কার, নিয়ন্ত্রণকারী এবং প্রাতিষ্ঠানিক বাজার কাঠামোতে উন্নতি হবে।
২০১৫ সালের নভেম্বর বাংলাদেশের পুঁজিবাজার উন্নয়ন প্রকল্পে ২৫ কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দেয় সংস্থাটি। প্রথম ধাপে ৮ কোটি ডলার ঋণ দেয় সংস্থাটি। সেই ধারাবাহিকতায় ঋণ অনুমোদন হলো।
২০১২ সাল থেকে এডিবি সরকারের সঙ্গে পুঁজিবাজার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মূলত ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ পতনের পর বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনাসহ পুঁজিবাজারকে একটি টেকসই প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এ ধরণের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ১০ বছর মেয়াদী জাতীয় মাস্টার প্লান তৈরি করা, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আইনি সংস্কার, ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জকে ডিমিউচুয়ালাইজেশন (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণ), কর্পোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক রিপোর্ট ও অডিটগুলোতে আরো স্বচ্ছতা আনাসহ বিমা শিল্পের উন্নয়নে নানা কর্মসূচি রয়েছে।
বিএমবিএ
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকগুলোকে ২০০ কোটি টাকা করে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়াকে পুঁজিবাজারের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মনে করছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ)।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান এ কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ মতিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মনিরুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য মাহবুব এইচ মজুমদার, নুর আহামেদ, মো. হামদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের মধ্যে বিএমবিএর সভাপতি ছায়েদুর রহমানের নেতৃত্বে সম্প্রতি বাজার মধ্যস্থতাকারীদের একটি দল সরকারের কাছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য একটি তহবিল গঠনের আবেদন করেন।
মূলত তাদের দাবির প্রেক্ষিতে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ তহবিল গঠনের সুযোগ দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য প্রত্যেক ব্যাংক ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন করতে পারবে।