বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: পুঁজিবাজারে বেড়েছে বিক্রির চাপ। জ্বালানি তেলের রেকর্ড দামবৃদ্ধি এবং এবং ডলারের বিপরীতে টাকার ব্যাপক দরপতনে আতংক তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। এতে বেড়ে গেছে বিক্রির চাপ।
বিভিন্ন ব্রোকার হাউসের নির্বাহিরা জানান, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত অনেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি কোনদিকে যায় তারা সেদিকে নজর রেখেছেন। অবশ্য ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দর নিম্নমুখী হয়ে পড়েছে। ব্রোকার হাউসের নির্বাহিরা জানান, তবে বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কগ্রস্ত। দেশের অর্থনীতিতে বড় রকমের সংকট আসতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। তাই তারা হাতে থাকা শেয়ার বেচে দিয়ে নিরাপদে থাকতে চাইছেন। আর এতে বেড়ে গেছে বিক্রির চাপ এবং দর পতন হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই দরপতন চলছে । প্রতিদিনই এর তীব্রতা বেড়েছে। রবিবার ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমে ৮ পয়েন্ট। পরদিন সোমবার বেশিরভাগ শেয়ার দর হারানোয় ডিএসইএক্স কমে ৪৫ পয়েন্ট। বুধবারসহ চলতি সপ্তাহের তিন কার্যদিবস সূচকটি কমেছে ১৩১ পয়েন্ট।
ডলারের বিপরীতে প্রায় প্রতিদিনই টাকার মান কমছে। এ কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও নিয়মিত শেয়ার বিক্রি করে পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। অবশ্য বাজার পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, বিনিয়োগকারীদের বড় অংশ শেয়ার হাতে রেখে দিয়েছেন।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, বুধবার বেশিরভাগ শেয়ারের দর কমলেও বড় মূলধনী কোম্পানির শেয়ারের দর হ্রাস সূচকের বড় পতনে ভূমিকা রেখেছে। বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ ও ওরিয়ন ফার্মার শেয়ারের দরহ্রাসে সূচকের ২২ পয়েন্ট কমাতে ভূমিকা রেখেছে। এর বাইরে অলিম্পিক ইন্ডাস্টিজ, বিএটি বাংলাদেশ, ইউনিক হোটেলসহ অধিকাংশ ব্যাংকের শেয়ারের দর কমেছে। মূলত বিদেশিদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপে এমন দরপতন হয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গতকাল ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া ৩৮৩টি সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ২৬টির, কমেছে ২৮০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭টির দর। দরপতনের কারণে ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৭৮ পয়েন্ট কমে ৬১৮০ পয়েন্টে নেমেছে। দরপতনের সঙ্গে সঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে। ক্রেতা কম থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গতকাল ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ৭৯৯ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ২৬ শতাংশ কম।