‘নাসা’র একটা ছোট্ট বোকামোর জন্যই নাকি পৃথিবীকে যে কোনও সময় আক্রমণ করতে পারে ভিনগ্রহীরা। অর্থাৎ যদি তারা থেকে থাকে, তাহলে নাকি তারা যে কোনও পৃথিবীতে এসে একেবারে জমিয়ে বসতে পারে। এমনটাই আশঙ্কা করছেন আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনট ড. ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক। আগে ‘নাসা’র সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ ১৯৭০-এ এক বিশেষ মানচিত্র মহাকাশে পাঠায়। সেই মানচিত্র তৈরিতেই কাজ করেছিলেন ড্রেক। বর্তমানে সেটি নক্ষত্রমণ্ডলে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭৭-এ নাসা Voyager 1 ও Voyager 2 নামে দুটি স্পেশক্রাফট মহাকাশে পাঠায় নাসা। ফ্র্যাঙ্ক ড্রেক নামে ওই মহাকাশ বিজ্ঞানী তাঁর মেয়ে নাদিয়াকে বলেছেন, সেইসময় পৃথিবী থেকে পাঠানো হচ্ছে এটা প্রমাণ করার জন্য কিছু একটা পাঠাতে হত ওই স্পেশক্রাফটে। সেইজন্যই দেওয়া হয়েছিল ওই মানচিত্র। তাঁর আশঙ্কা এতদিনে এলিয়েনদের হাতে পৌঁছেছে সেই ম্যাপ। আর সেটা দেখে তারা যখন-তখন নেমে আসতে পারে ধরাধামে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাদিয়া জানিয়েছে, ওই স্পেশক্রাফটের সন্ধান পেলে ভিনগ্রহীরা পৃথিবীকে তো অনায়াসে খুঁজে পাবেই, সেইসঙ্গে কতদিন আগে ওই স্পেশক্রাফট পাঠানো হয়েছে, সেটাও জেনে যাবে।
এতে বিপদের আশঙ্কা আছে জেনেও কেন ‘নাসা’ এমন একটা কাজ করল? এর উত্তরে ড্রেক বলেন, যে সময় এটি পাঠানো হয়, সেইসময় এবিষয়ে প্রশ্ন তোলার মত কেউ ছিল না। এর কোনও নেগেটিভ দিক থাকতে পারে, ভিনগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগে পৃথিবী আদৌ বিপদে পড়তে পারে কিনা, সেই বিতর্কও তৈরি হয়নি। ড্রেকের আশা, যেন কোনওদিন কারও হাতে না পৌঁছয় ওই মহাকাশযান, যেন সেটা অনন্তকাল ধরে শূন্যে ঘুরতে থাকে কেবল।
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক