বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ভারতে পেঁয়াজের বাজার নিম্নমুখী। খরিফ মওসুমের ফসল আসতে শুরু করায় দাম কমছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৪ রুপি দরে।
দাম কমাতে সরকারি মজুতভান্ডার থেকে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করেছে মোদি সরকার। দেশটির সরকার কিছুদিন আগে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য তুলে নেওয়ার জেরে দাম বেড়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
সরকারি মজুতভান্ডার থেকে রাজধানী নয়াদিল্লিসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি হয়েছে। ভারত সরকারের লক্ষ্য হলো দেশের সবখানেই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩৫ রুপিতে বিক্রি করা। বিশেষ করে যেসব অঞ্চলে পেঁয়াজের দাম জাতীয় গড় দামের চেয়ে বেশি, সেসব অঞ্চলে এই খুচরা বিক্রি কার্যক্রম চলছে।
সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাজার স্থিতিশীল রাখতে ভান্ডার থেকে দেড় লাখ টন বাজারে ছাড়া হয়েছে। ৩৫ রুপি কেজি দরে তা বিক্রি হচ্ছে। রেলপথে এই পেঁয়াজ বিভিন্ন রাজ্যে পরিবহন করা হচ্ছে দ্রুত এবং কম খরচে। অপরদিকে, খরিফ মওসুমের পেঁয়াজও বাজারে চলে এসেছে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ আরও শিথিল করে। প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। পাশাপাশি রপ্তানি শুল্কও কমানো হয়। গুরুত্বপূর্ণ পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চল মহারাষ্ট্র রাজ্যে নির্বাচনের আগে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর শর্ত শিথিল করা হয়।
অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ভারত একসময় পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। চলতি বছরের মে মাসে রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দেশটির সরকার। এখন তা–ও কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে।