হিলি ( দিনাজপুর ) থেকে সংবাদদাতা: অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানি করে বিপাকে পড়েছেন এখানকার আমদানিকারকরা। ক্রেতা সংকটে পেঁয়াজ বিক্রি করা যাচ্ছে না। অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজে পচন ধরেছে। বিক্রি না হওয়ায় নতুন করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন আমদানিকারকরা।
কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন আমদানিকারকরা। খারাপ মানের পেঁয়াজ ২/৩ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন; কিছু বিনা মূল্যে দিচ্ছেন। আবার কিছু পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছেন। আর ভালো মানের পেঁয়াজ ১৩/১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা নাজিম উদ্দিন বলেন, এইতো গুদাম থেকে পেঁয়াজ কিনলাম কম দামে ৫০ টাকা বস্তা হিসেবে। এগুলো নিয়ে গিয়ে বেছে পরিষ্কার করে ভালোগুলো বের করে নিজেরা খাবো বাড়তি পেঁয়াজগুলো বিক্রি করবো। তাতে বাড়তি লাভ হবে। পেটের দায়ে সবকিছুই করতে হবে।
আগে পেঁয়াজের দাম ছিল ২০/২২টাকা কেজি ছিল। এখন দাম কমে গেছে ১৩/১৫টাকা ।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শাহরিয়ার আলম বলেন, সরকার কর্তৃক পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৯ মার্চের পরে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। বন্দর দিয়ে আর কোনো পেঁয়াজ আমদানি হবে না এমন খবরে বন্দর দিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। যা দেশের বাজারে রমজানে বাড়তি চাহিদার তুলনার চেয়ে অনেক বেশি। যার কারণে আমাদের অনেক পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় বন্দর থেকে খালাস করে নিজস্ব গুদামে নামিয়ে রাখতে হয়েছে। এর উপর সরকার নতুন করে ৫ মে পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে মার্চ মাস জুড়েই পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত ছিল। সেসময় গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো। সর্বশেষ ২৯ মার্চ বন্দর দিয়ে ৬৩টি ট্রাকে ১ হাজার ৬৯০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর থেকে আজ অবধি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। তবে কি কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ এটি ব্যবসায়ীরা বলতে পারবেন এটি আমরা সঠিক জানি না।