বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কলকাতা:করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের কারণে গত এক বছর ধরে ধুঁকছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল বন্দরকেন্দ্রিক অর্থনীতি। সেই ক্ষত মেরামত হতে চলেছে। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছিল, ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের সমস্ত স্থলবন্দর খুলে দেওয়া হবে। ফলে পরিবহণ ও বাণিজ্যে আর কোনও সমস্যাই থাকবে না। শুক্রবার আরও একটা ভাল খবর সামনে এল। পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ও দ্বিতীয় কার্গো গেটের উদ্বোধন হয়েছে । এর ফলে যাত্রী পরিবহণ ও দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য আরও বাড়বে।
শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ বনগাঁর পেট্রাপোল স্থলবন্দরের দ্বিতীয় কার্গো গেট ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন-১ এর উদ্বোধন হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তরফে ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তাছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই-কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. আজিজুর রহমান ।
আধুনিক মানের এই টার্মিনাল প্রায় ১৩০৫ বর্গমিটার। এই টার্মিনালে ৩২টি ইমিগ্রেশন কাউন্টার, ৪টি কাস্টমস কাউন্টার এবং ৮ টি সিকিউরিটি কাউন্টারের ব্যবস্থা আছে। তাছাড়াও প্রস্তাবিত দ্বিতীয় বাণিজ্য গেটেরও উদ্বোধন হয়েছে আজ।
বনগাঁ মহকুমায় ভারী শিল্প নেই। কয়েক হাজার মানুষ পেট্রাপোল বন্দরকে কেন্দ্র করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বন্দরের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি এবং মানুষের যাতায়াতের ওপরে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন, ভারত এবং বাংলাদেশ মিত্র দেশ, আর এই টার্মিনাল তৈরির ফলে যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে আরও সুবিধা হবে।
বাংলাদেশের নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে বাংলাদেশকে এই উপহার দেওয়া হল, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের রক্তেলেখা সম্পর্ক। এটা শুধু সম্পর্ক নয়, আমরা ভাই-ভাই। আগামীতে আমরাও চেষ্টা করব বেনাপোলে যাতে আরও উন্নয়ন আনা যায়।