Home সারাদেশ পেট্রাপোল শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, বাণিজ্য শুরু

পেট্রাপোল শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, বাণিজ্য শুরু

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:

অবশেষে দুদিন পর ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের জীবন জীবিকা বাঁচাও কমিটির পাঁচ দফা দাবির মধ্যে দুই দফা দাবি মেনে নেওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছে সংগঠনটি।
পুনরায় বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে পুনরায় দুই দেশের মধ্যে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।

১ ফেব্রুয়ারি রাতে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে একটি বৈঠকে পরস্পরের মধ্যে সমঝোতা হলে কর্মবিরতি তুলে নেয় জীবন-জীবিকা বাঁচাও সংগঠন।

বেনাপোলে আমদানি- রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বাণিজ্যিক কাজে সীমান্তরক্ষী বিএসএফের হয়রানি বন্ধসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে রোববার সকালে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ডাক দেয় সংগঠনটি। ফলে এদিন সকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। প্রবেশের অপেক্ষায় দুই পারের বন্দরে আটকা পড়ে সহস্রাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক। এতে নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন দুই দেশের ব্যবসায়ীরা। দুর্ভোগে পড়েন পণ্যবহনকারী ট্রাক চালকেরা।

কর্মবিরতি ডাক দেওয়া সংগঠনটির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বন্দর শ্রমিক, ট্রাক চালক ও সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তাদের আন্দোলনের সাথে পরে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন বন্দর ব্যবহারকারী সকল বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।

বর্তমানে সমঝোতা আলোচনায় মেনে নেওয়া দাবি ২টি হলো- ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে পেট্রাপোল চেকপোস্টে হ্যান্ড কুলিরা কাজ করতে পারবে ও পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে রেখে ট্রাক চালকরা পায়ে হেঁটে এপার ওপার যাতায়াত করতে পারবেন।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, কর্মবিরতি প্রত্যাহারে মঙ্গলবার সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে দ্রুত পণ্য খালাস করতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দেশের স্থলপথে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় তার প্রায় ৭০ শতাংশ শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়ে হয়ে থাকে। প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি ও প্রায় ২শ’ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। আমদানি পণ্যের মধ্যে অধিকাংশ শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল ,গার্মেন্টস ও খাদ্যদ্রব্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে বেশিরভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব্য রয়েছে। আমদানি পণ্য থেকে প্রতি বছর সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। একদিন বাণিজ্য বন্ধ থাকলে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এবং রাজস্ব আয়ে বিরূপ প্রভাব পড়ে।