বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
অনলাইনে পরিচয়ের পর প্রেমের টানে প্রায় ৫ হাজার কিমি পাড়ি দিয়ে পেরুতে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মেক্সিকোর ৫১ বছর বয়সি এক নারী। তবে শেষপর্যন্ত প্রেমিকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরিণতি হয় নির্মম। প্রেমিকের হাতে খুন হন সেই নারী। মেক্সিকোর ব্লাঙ্কা আরেলানো জুলাই মাসের শেষে পেরুর রাজধানী লিমায় যাওয়ার কথা জানান।
সফরের উদ্দেশ্য ছিল অনলাইন প্রেমিক জুয়ান পাবলো ভিলাফুয়ের্তের সঙ্গে সরাসরি দেখা করা। ব্লাঙ্কার পরিবার জানিয়েছে, হুয়াচো শহরের সমুদ্র সৈকতে পেরুভিয়ান প্রেমিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ব্লাঙ্কা। ৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্ক ভালোই চলে। তবে সেদিনের পর থেকে ব্লাঙ্কা নিখোঁজ হয়। ব্লাঙ্কার পরিবারের সদস্য কার্লা জানিয়েছেন ৭ নভেম্বর তাদের মধ্যে শেষ কথা হয়েছে। ওই সময় ব্লাঙ্কা বলেছিলেন তাদের সম্পর্ক ভালোই চলছে। এরপর যোগাযোগ হয়নি। কার্লার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নেটিজেনদের মনোযোগ কাড়লে পেরু কর্তৃপক্ষ ব্লাঙ্কার খোঁজ শুরু করে।
১০ নভেম্বর ব্লাঙ্কার পরিবারের আশঙ্কা সত্যি হয়। ওই দিন রুপোর একটি আংটি পরা বিচ্ছিন্ন একটি আঙুল উদ্ধার করা হয়। তদন্তকারীরা জানান, আংটি দেখে ব্লাঙ্কাকে চেনা গেছে।
এই ঘটনার পরের দিনগুলোতে হুয়াচো সৈকতে আরও কিছু বিচ্ছিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ উদ্ধার হয়। প্রথমে মুখহীন একটি মাথা, পরে একটি হাত এবং ভেতর থেকে পরিকল্পিতভাবে অঙ্গ সরিয়ে ফেলা একটি ধড় উদ্ধার হয়।
ব্লাঙ্কার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হুয়াচো থেকে তার প্রেমিক পাবলোকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ব্লাঙ্কাকে খুন করেছেন তিনি।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নারীর দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ উধাও ছিল। সেই অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কোথায় তা জানার জন্য পাবলোকে চাপ দেওয়া শুরু করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় পাবলো স্বীকার করেন যে, ব্লাঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি করে দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও চক্রের যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।