বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ইস্টারের পরের দিন মারা গেলেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। রবিবার ইস্টার ছিল, পালনও করেছিলেন তিনি। তার পরে সোমবারই প্রয়াত হলেন পোপ ফ্রান্সিস, জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভ্যাটিকান সিটিতে কাসা সান্তা মার্তাতে নিজের বাসগৃহেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। ডবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। সোমবার কাসা সান্তা মার্তায় কার্ডিনাল কেভিন ফ্যারেল ঘোষণা করেন, ‘গভীর দুঃখের সঙ্গে আমাকে আমাদের পবিত্র ফাদার ফ্রান্সিসের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করতে হচ্ছে।’ সোমবার সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে (স্থানীয় সময় অনুসারে) নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন পোপ। তাঁর সারা জীবন ঈশ্বর এবং গির্জার প্রতি সমর্পিত করেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস।’
চিকিৎসকরা পোপ ফ্রান্সিসকে বিশ্রামের পরামর্শ দিলেও, আশ্চর্যজনকভাবে সকলকে চমকে দিয়ে রবিবার ইস্টারের অনুষ্ঠানে জনসমক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন প্রচুর মানুষ। সেন্ট পিটার্স স্কোয়ার থেকে ইস্টারের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে হাত নাড়িয়ে অভিবাদনও জানিয়েছিলেন সকলকে। এমনকি রবিবার সকালেই পোপের সঙ্গে কিছুক্ষণের জন্য একান্ত বৈঠকে বসেছিলেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স।
প্রসঙ্গত, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে খুব কম বয়সেই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পোপের ফুসফুসের একটি অংশ বাদ দিতে হয়েছিল। যার জেরে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘনঘন শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেছিলেন পোপ। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার পর ভ্যাটিক্যানের তরফে জানানো হয়, ডবল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত পোপ। তবে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে কাটানোর পর নিজের বাসভবনেই ফিরে আসেন তিনি। সেখানে থেকেই তাঁর চিকিৎসা চলছিল। যদিও শেষরক্ষা হল না। পোপের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে বিশ্বজুড়ে। রোমান ক্যাথলিক গির্জার পরবর্তী প্রধান কে হবেন, তা এখনও স্থির করা হয়নি।