বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
নরসিংদী: বন্ডের অপব্যবহার, তুলা ও সুতার মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিপাকে পড়েছে দেশীয় বস্ত্রশিল্প। এ ছাড়া সরকারের দেওয়া প্রণোদনাও সঠিকভাবে বণ্টন হয়নি বলে অভিযোগ শিল্প মালিকদের। দেশের অভ্যন্তরীণ দেশীয় কাপড়ের চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ পূরণ করে থাকে নরসিংদীর টেক্সটাইল মিলগুলো। বস্ত্রশিল্প সমৃদ্ধ এই জেলায় ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার শিল্পকারখানা রয়েছে।
সম্প্রতি আকস্মিকভাবে তুলা ও সুতার মূল্যবৃদ্ধি, সে সঙ্গে বন্ডের অপব্যবহার করে বিদেশি কাপড় দেশীয় বাজারে বিক্রি করার কারণে বিপাকে পড়েছেন টেক্সটাইল মালিকরা। এই অবস্থায় অনেকেই কারখানা চালু করেও বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। তারা বলেন, সুতার দাম বাড়ছে, কাপড়ের দাম কমছে। তাই আমরা বিপদে আছি।
গত বছরের শুরুর দিকে করোনা পরিস্থিতির কারণে নরসিংদীর সব বস্ত্র-কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জুন মাসে সরকারি সিদ্ধান্তে সীমিত পরিসরে কারখানাগুলো চালু হয়।
ব্যবসায়িক নেতারা বলছেন, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা হলেও এই জেলার টেক্সটাইল, ডাইংসহ দেশীয় বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত অন্যান্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পগুলো এই সুবিধার আওতায় আসেনি। এ ছাড়া বন্ডের মাধ্যমে বিদেশি কাপড়ের আমদানিতে কাস্টমসের নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে চৌয়ালা টেক্সটাইল শিল্পমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নান্নু আলী খান বলেন, এই শিল্পের জন্য প্রণোদনা দেওয়া দরকার। তাহলেই আমাদের দেশীয় শিল্পটি বেঁচে থাকবে।