Home First Lead প্রথম ডোজে সংক্রমণ কমেছে :অক্সফোর্ড

প্রথম ডোজে সংক্রমণ কমেছে :অক্সফোর্ড

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

টিকার দুটি ডোজের মধ্যে সবে প্রথম ডোজই দেওয়া হয়েছে। আর প্রথম ডোজই নাকি খুব ভাল কাজ করছে বলে দাবি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির। ব্রিটেনে ইতিমধ্যে গণহারে টিকাকরণ শুরু করেছে অক্সফোর্ড। ভারতে অক্সফোর্ড টিকার ফর্মুলায় তৈরি কোভিশিল্ড টিকা দিচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট। টিকার ডোজ কেমন কাজ করছে সেই নিয়ে প্রথম মুখ খুলল অক্সফোর্ড ও তাদের সহযোগী টিকা নির্মাতা সংস্থা অ্যাস্ট্রজেনেকা।

অক্সফোর্ড জানিয়েছে, টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার পরেই করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কমতে দেখা গেছে। বিশেষত ব্রিটেনে এখন যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে তার অনেকটাই রোখা গেছে বলে দাবি। সারা গিলবার্টের টিম জানিয়েছে, টিকার প্রথম ডোজ মানুষের শরীরে প্রায় ৯০ শতাংশ কার্যকরী। ২৮ দিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরেই অ্যান্টিবডি তৈরি শুরু হবে। তবে তার আগেই শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ছে। আর সেই কারণে নতুন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার কমছে।

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞদের দাবি, টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার পরেই দেখা গেছে, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার প্রায় ৬৭ শতাংশ কমে গেছে। করোনার নতুন স্ট্রেনের ওপরে অক্সফোর্ডের চ্যাডক্স টিকা কতটা কার্যকরী হচ্ছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সামনে না আনলেও, অক্সফোর্ডেক দাবি, টিকার ডোজ যে দারুণভাবে কার্যকরী হতে শুরু করেছে সেটা প্রমাণিত।

অক্সফোর্ড টিকার তৃতীয় পর্বের প্রাথমিক রিপোর্ট সামনে আসার পরেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। শোনা যায়, অক্সফোর্ড টিকার একটি ডোজ দিলে নাকি তা ৯০ শতাংশ কার্যকরী হচ্ছে। অথচ যদি টিকার সম্পূর্ণ ডোজ অর্থাৎ ২৮ দিনের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হয় স্বেচ্ছাসেবকদের তাহলে নাকি টিকার কার্যকারিতা ফের ৬০-৭০ শতাংশে নেমে যাচ্ছে। টিকার ডোজে এমন মিশ্র ফল দেখা যাচ্ছে কেন সে নিয়ে প্রশ্ন উঠলে অক্সফোর্ড জানায়, কমবয়সীদের টিকার একটি ডোজ দিলেই তা ৯০ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। বি-কোষ সক্রিয় হয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। আবার অ্যাকটিভ হয়েছে ঘাতক টি-কোষও। খুব তাড়াতাড়ি ২৮ দিনের মধ্যেই শরীরে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। বয়স্কদের ক্ষেত্রে টিকার ডোজ কাজ করতে কিছুটা সময় বেশি সময় লাগছে। তাই দুটি ডোজ কতটা কাজ করেছে তার একটা গড় ফলাফল সামনে আনা হয়েছে। তবে পরে অ্যাস্ট্রজেনেকা টিকার তিন পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট সামনে এনে জানায়, টিকার দুটি ডোজই ৯০ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে। সামান্য জ্বর, মাথাব্যথা ছাড়া আর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলেও দাবি করেছেন গবেষকরা।