বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়া টেকনাফের সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মামলা করেছেন কারামুক্ত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এ দায়েরকৃত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী ধার্য তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে নির্দেশ দেন বিচারক তামান্না ফারাহ।
মামলায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ পুলিশ সদস্য ও তাদের দালালদের মাধ্যমে পৃথক ঘটনায় চার দফা নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন, হত্যাচেষ্টা, মিথ্যা মামলা দায়েরসহ নানা অভিযোগে আনা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান, পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা, পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম খান, কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই প্রদীপ, এসআই মো. সাইফুল করিম, টেকনাফ থানার এসআই মশিউর রহমান, এসআই মনসুর মিয়া, এসআই ছাব্বির আহমেদ, এসআই সুজিত চন্দ্র দে, এসআই বাবুল, এসআই মো. জামাল উল্লাহ, এসআই মো. নাজির উদ্দিন, এসআই আমির হোসেন, এসআই মিসকাত উদ্দিন, এসআই সনজিত দত্ত, কনস্টেবল নাজমুল হাসান, সাগর দেব, আবদুল্লাহ আল মামুন, রাশেদুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, মংচিংপ্র চাকমা, আবদুল শুক্কুর, মো. মহিউদ্দিন, সেকান্দর, টেকনাফের দক্ষিণ হ্নীলা ফুলেরডেইল এলাকার মৃত আবুল খায়েরের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, হোয়াইক্যং পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়ার হাজি আবুল কাশেমের ছেলে মফিজ আহমদ, হ্নীলা দরগাহ পাড়ার মৃত তাজর মুল্লুকের ছেলে আবুল কালাম প্রকাশ আলম এবং হোয়াইক্যং দক্ষিণ কাঞ্জরপাড়ার মাওলানা সিরাজুল হকের ছেলে নুরুল আমিন।
আদালতে মামলা দায়েরে বাদীর পক্ষে ছিলেন কক্সবাজার জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সিদ্দিকী, সিনিয়র আইনজীবী মো. মোস্তফা, মো. আবদুল মন্নান, ফখরুল ইসলাম গুন্দু, রেজাউল করিম রেজা, এমএম ইমরুল শরীফসহ অসংখ্য আইনজীবী।
চাঁদাবাজি, অস্ত্র, মাদকসহ নানা অভিযোগে সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার বিরুদ্ধে একে একে ছয়টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় দীর্ঘ ১১ মাস ৫ দিন পর গত ২৭ আগস্ট কারামুক্ত হন তিনি। তখন থেকে তিনি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফরিদুল মোস্তফা জানান, গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন ‘টেকনাফে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও টাকা না দিলে ক্রসফায়ার দেন ওসি প্রদীপ’ শিরোনামে তিনি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ করেন। এছাড়াও মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় সংবাদ, ক্রসফায়ারের নামে বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ হত্যার বিষয়ে লিখেন তিনি।
তাতে ক্ষিপ্ত হন প্রদীপ কুমার দাশসহ কিছু পুলিশ সদস্য। পরে জিআর-৫৬২/২০১৯, জিআর-৫৭৭/২০১৯ ও জিআর-৭৯৮/২০১৯ মামলা করান ওসি। এই তিন মামলার বাদীই মাদক কারবারী ও দেশদ্রোহী বলে উল্লেখ করেছেন ফরিদুল মোস্তফা মামলার এজাহারে ।