Home আইন-আদালত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় ঘোষণা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি:

* বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবসহ ৫০ আসামির বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা করে হত্যাচেষ্টার মামলায় বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনকে ১০ বছর করে কারাদন্ড ও ৪৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবীর এ রায় ঘোষণা করেন। রায়কে ঘিরে সাতক্ষীরা আদালত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন আসামির মধ্যে ৩৫ জন কারাগারে এবং অপর ১৫ জন পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শেখ কামরুল ইসলাম, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, আব্দুর রকিব মোল্লা, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ তামিম আজাদ মেরিন, আক্তারুল ইসলাম, আব্দুল মজিদ, হাসান আলী, ময়না, আব্দুস সাত্তার, তোফাজ্জেল হোসেন সেন্টু, জহুরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, অ্যাড. আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সামাদ, আলতাফ হোসেন, শাহাবুদ্দিন, সাহেব আলী, সিরাজুল ইসলাম, রকিব, ট্রলি শহীদুল, মনিরুল ইসলাম, ইয়াছিন আলী, শেলী, শাহিনুর রহমান, দিদার মোড়ল, সোহাগ হোসেন, মাহাফুজুর মোলা, আব্দুল গফফার গাজী, রিঙ্কু, টাইগার খোকন ওরফে বেড়ে খোকন ও অ্যাড. আব্দুস সামাদ।

পলাতক থাকা আসামিরা হলেন -মাহাফুজুর রহমান, আব্দুল কাদের বাচ্চু, মফিজুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, খালেদ মঞ্জুর রোমেল, আরিফুর রহমান, রিপন, ইয়াছিন আলী, রবিউল ইসলাম, মাজাহারুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, আব্দুর রব, সঞ্জু, নাজমুল হোসেন, জাবিদ রায়হান লাকী ও কণক।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যান ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে। ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে বোমা বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাঙচুর ও তাঁকে লক্ষ করে গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে।  তৎকালীন বিএনপির সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের পরামর্শে ও নির্দেশক্রমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আসামিরা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র, হাত বোমা, রামদা, লোহার রড, বাঁশের লাঠি, শাবল ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ হামলা চালান। এতে তিনি প্রাণে রক্ষা পেলেও তার সফরসঙ্গী জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফাতেমা জামান সাথী, আব্দুল মতিন, জোবায়দুল হক রাসেল ও শহীদুল হক জীবনসহ সাতক্ষীরার বেশ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হন।

পরে ২০১৫ সালে আদালতে এই মামলার চার্জশিট দেয়া হলে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর হয়।গেল বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কার্য শেষ করার জন্য সাতক্ষীরা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রিট আদালতকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।