অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় সবাইকে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি সামর্থ্য অনুযায়ী উৎপাদনে নজর দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে একসঙ্গে নবনির্মিত ১০০টি সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানি সীমিত আকারে ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পানি সীমিত ব্যবহার করুন। অপচয় করা যাবে না।
প্রত্যেককে নিজস্ব সঞ্চয় বাড়াতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অর্থনৈতিক মন্দার জন্য প্রত্যেকে নিজস্ব সঞ্চয় বাড়ান। যেখানে যতো খালি জমি আছে সেখানে ততো বেশি উৎপাদন করুন। নিজেদের উপার্জনের ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে।
তিনি বলেন, সড়ক পথের উন্নয়নের পাশাপাশি আমরা সমগ্র বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম হয়েছি। যদিও করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অর্থনৈতিক গতি কিছুটা স্লথ হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এটা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং স্যাংশন। যার ফলে আমাদের এখন প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে শুধু আমাদের না বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এবং প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমস্ত জিনিসের মূল্য বেড়ে যাওয়াতে অর্থনৈতিক গতিশীলতা কিছুটা স্লথ হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে অনেক কথা বলতে পারে কিন্তু যে কাজগুলো করেছি তার সুফল মানুষ পাচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি আমরা বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার কাজ করেছে বলেই, মানুষের আর্থ-সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে। দেশের যোগাযোগ খাতের উন্নয়নে নিরন্তর কাজ করছে সরকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি গণভবন প্রান্তে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী। অনুষ্ঠানে সেতুগুলোর ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।