বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
যশোর: ঐতিহাসিক যশোর স্টেডিয়ামে স্মরণকালের বৃহৎ জনসভায় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পরাধীনতা থেকে দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আর আমরা দেশবাসীকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছি। যশোরে সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হয়েছে। যশোরে দেশের প্রথম আইসিটি পার্ক স্থাপন করে বেকার যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছি। আমাদের সরকার দেশের মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন তুলে দিয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় অনেক ভালো। আমাদের ব্যাংকে টাকার কোন সংকট নেই। গতকালও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন দেশে রিজার্ভের কোন সংকট নেই। রিজার্ভের টাকা দেশবাসীর কল্যাণে ব্যয় করেছি।
তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে দুই হাত তুলে উপস্থিত জনতাকে সমর্থন জানানোর আহবান জানালে উপস্থিত জনতা দুই হাত তুলে নৌকা মার্কার পক্ষে তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যশোরের অভয়গরে ইপিজেড হচ্ছে। সেখানে ৫শ’ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এখানে বহু মানুষের কর্মস্থান হবে। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে। যুব সমাজের জন্য আমরা অনেক কিছু করেছি। শুধু চাকরি খুঁজলে হবে না। কর্মসংস্থান ব্যাংক করে দিয়েছি। জামানত ছাড়া ঋণ পাওয়া যাবে। যুবকদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে। কেউ বেকার থাকবে না। আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বো। যশোর থেকেই আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ শুরু করেছি। দেশের সর্বপ্রথম এখানে আইটি পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশ্ন করেন সাজাপ্রাপ্ত নেতা দেশকে কী দিতে পারে, খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে দিয়েছে। সেই কারণে বিএনপির প্রধান নেতা আজ সাজাপ্রাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত নেতা দেশকে লুটপাট ছাড়া আর কী দিতে পারে বলেন?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন করেছি। যশোরে আমাদের সময়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমরা কৃষকের সব রকম সুযোগ করে দিয়েছি। ১০ টাকায় আজ কৃষক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারছে। ১৫ ও ৩০ টাকা কেজি দরে গরীব মানুষ আজ চাল পাচ্ছে।
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপির সঞ্চালনায় জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ সারহান নাসের তন্ময়, খুলনা সদর আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দীন জুয়েল, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাসিম, যশোর সদর আসনের এমপি কাজী নাবিল আহমেদসহ বিভন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ।
সকালে যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটিতে বিমান বাহিনীর শীতকালীন কুচকাওয়াজ পরিদর্শণ ও অভিবাদন গ্রহন অনুষ্ঠান শেষ করে বেলা ২টা ৪০ মিনিটে যশোর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে জনসভাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।