বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার:দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। আপনাদের ভাগ্য গড়া আমার কাজ। মানুষকে যেন আর কষ্ট করতে না হয় সেটাই আমার লক্ষ্য। প্রয়োজনে বাবার মতো বুকের রক্ত দিতেও আমি প্রস্তুত।
শনিবার মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করলাম। এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বিদ্যুৎ যাবে জাতীয় গ্রিডে। কুতুবদিয়ায় বিদ্যুৎ গেলো। বিদ্যুতের জন্য আর এ অঞ্চলের মানুষকে কষ্ট করতে হবে না।
কক্সবাজার পর্যন্ত রেল লাইন সংযোগ হওয়ার বিষয়টি গৌরবের বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে রেল সংযোগ একটি নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। কক্সবাজার জেলাবাসির দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার অবসান হয়েছে।
দোহাজারি-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এশিয়ান বৃহৎ এবং ঝিনুক আদলে তৈরি আইকনিক রেল স্টেশনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার এখন থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটের সময় অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতিরজনককে স্বপরিবারে হত্যার পর পরই বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে গেছে। অথচ এই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ৩ বছর ৭ মাস পরই ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। জাতিসংঘ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানো যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে স্বল্প উন্নত রাষ্ট্রের কথা স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ১৫ আগস্টের পর বন্দুকের নল দিয়ে ক্ষমতায় এসে কলংকিত ইতিহাস রচিত হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের দেশে এসে সম্মানিত করা, মুক্তিযুদ্ধের অর্জনকে মুছে দেয়ার চেষ্টা চলেছে একে একে। সেই বাংলাদেশের মানুষের কল্যানে আমার দেশে ফেরা। আমি এদেশের মানুষের জন্য সর্ব কিছু করতে চাই। ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ বিক্রি করতে রাজী না। আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা।
প্রধানমন্ত্রী সুধি সমাবেশে পৌঁছার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া শেষে শিশুদের সাথে ছবি তুলেন। এরপরই মঞ্চে উঠে বসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের আগেই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন একটি শুভেচ্ছা স্মারক। রেলমন্ত্রী ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতি নুরুল ইসলাম সুজন।
প্রধানমন্ত্রী সুধী সমাবেশের বক্তব্য প্রদান শেষে উদ্বোধন করেন রেল লাইনের। আর রেল যোগে ঘুরেছেন ১২ কিলোমিটার এলাকা। আর এর মধ্য দিয়েই এক স্বপ্ন পূরণের ইতিহাস রচিত হয়েছে। সকাল ৮ টা থেকে আইকনিক স্টেশনের পাশে সুধি সমাবেশের নির্ধারিত স্থানে আসতে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।