Home First Lead বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি সন্ত্রাসী সংগঠন : প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

বরিশাল: বিএনপি হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী দল। এই সন্ত্রাসী দলের রাজনীতি করার অধিকার বাংলাদেশে নেই। কারণ তারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, আর ওদের রাজনীতি মানুষ হত্যায়। তাদের কী মানুষ চায় বলেন? তাদের মানুষ চায় না।

শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপিকে মানুষ আর চায় না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০১৩-১৪ সালের পর আবার ওরা অগ্নি-সন্ত্রাস শুরু করেছে। ওরা নির্বাচন চায় না, নির্বাচন বানচাল করতে চায়। আমি ধিক্কার জানাই ওই বিএনপি-জামায়াতকে।
ছবি সংগৃহীত
‘আমাদের রাজনীতি মানুষের কল্যাণে, ওদের রাজনীতি মানুষ পোড়ানোয়। তাদেরকে কি মানুষ চায়? তাদের আর চায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা যখন জনগণের জন্য উন্নয়ন করি তখন বিএনপি-জামায়াত করে অগ্নিসন্ত্রাস। ট্রেনের বগি ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করার ফাঁদ পাতে। রেলে আগুন দিয়ে মা ও সন্তানকে পুড়িয়ে মারে।

তরুণদের নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি তারুণ্যের শক্তিই বাংলাদেশের অগ্রগতি। নতুন ভোটার যারা তাদের কাছে আমার আহ্বান- নতুন করে ভোট দিতে আসবেন; নিশ্চয়ই চাইবেন না আপনার ভোট ব্যর্থ হোক। কাজেই আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে নৌকাকে জয়যুক্ত করবেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আপনাদের কাছে আহ্বান, ৭ তারিখে সকাল সকাল সবাই ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। নৌকা মার্কা- এই নৌকা মার্কা হচ্ছে নূহ নবীর নৌকা, মহাপ্লাবন থেকে মানুষকে রক্ষা করেছিল।

‘এই নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। এই নৌকায় ভোট দেয়ায় আজ দারিদ্র্য বিমোচন হয়েছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে। এই নৌকায় ভোট দিলে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গত ১৫ বছর গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকে বাংলাদেশে উন্নয়ন হয়েছে। জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া- তাদের সময় বাংলাদেশের উন্নতি হয়নি; বাংলাদেশ পেছনে চলে গেছে। আওয়ামী লীগ এলে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। আমাদের ছেলেমেয়েরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হবে। আধুনিক বিজ্ঞান-প্রযুক্তি শিখবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে দক্ষ জনশক্তি হবে। তাদের স্মার্ট জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদের সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্মার্ট সরকার হবে। আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট হবে, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ হবে৷ আমাদের সমাজ ব্যবস্থা হবে স্মার্ট সমাজ। তার জন্য আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। বিএনপির দুঃশাসনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করে আমাদের ক্ষমতায় রেখেছে। আজ ২০২৩ সাল, আমরা বদলে যাওয়া বাংলাদেশে। আজকে দুর্ভিক্ষ নেই, মঙ্গা নেই। যে মানুষ একবেলা খেতে পারতো না। তারা তিন বেলা খেতে পারছে। বই বিনামূলে বিতরণ করছি। অসহায়দের ভাতা দিচ্ছি। আজকে ১০ কোটি মানুষ উপকারভোগী। আমরা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে শিল্প কলকারখানা চালিয়ে আসছি। ১০ টাকায় কৃষকরা অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। ১ কোটি ২ লাখ কৃষক অ্যাকাউন্ট খুলে ভর্তুকির টাকা পাচ্ছে।

এর আগে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় জনসভাস্থল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে পৌঁছান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিন দুপুর পৌনে ১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়।