বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: প্রবাসী ও রপ্তানিকারকদের জন্য ডলারের দাম বেঁধে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর ফলে কোনো ব্যাংক বেশি দাম দিয়ে বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করতে পারবে না। পাশাপাশি রপ্তানিকারকদের নিজ ব্যাংকের মাধ্যমে বিল নগদায়ন করতে হবে। ব্যাংকগুলো মিলে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে দেবে। ফলে এখন থেকে ডলারের বেঁধে দেয়া দামে আসবে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়।
রবিবারের (২৯ মে) মধ্যে ডলারের একক দর নির্ধারণ করবে ব্যাংক নির্বাহীদের দুই সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন(বাফেদা)।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এবিবি ও বাফেদার সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন ও বাফেদার চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের এমডি আতাউর রহমান প্রধানসহ দুই কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যরা।
সভা শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিয়মিত ভিত্তিতে যে ডলার বিক্রি হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকবে। রপ্তানিকারকদের নিজ ব্যাংকে ডলার নগদায়ন করতে হবে। বাফেদা ও এবিবি ডলারের এক মূল্য নির্ধারণ করে দেবে, যা মেনে চলবে সব ব্যাংক। এ দামেই প্রবাসী আয় আনতে হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় অস্থির হয়ে ওঠে ডলারের বাজার। দফায় দফায় টাকার অবমূল্যায়ন করেও বাজার স্থিতিশীল হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক দর নির্ধারণ করে দিলেও মানতে পারেনি ব্যাংকগুলো। এ পরিপ্রেক্ষিতেই এমন সিদ্ধন্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
সম্প্রতি ডলারের বিপরীতে টাকার মান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কমে যায়। সর্বশেষ ডলার প্রতি ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলো ৯৫ থেকে ১০০ টাকার নিচে বিক্রি করছে না। আর খোলাবাজারে ডলারের দাম অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন। রেমিট্যান্স সংগ্রহে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলছে। গত ১৭ই মে বাড়তে বাড়তে ১০৪ টাকা পর্যন্ত উঠে ডলারের দাম।