- ডিমের উৎপাদন নেমে গেছে ৩ কোটিতে
- বাজেট আশা জাগানিয়া: টুটুল
প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে পোল্ট্রিবান্ধব হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে পোল্ট্রি শিল্পের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল-বিপিআইসিসি।
এ বাজেট ‘কভিড-১৯’ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পোল্ট্রি শিল্পের ঘুরে দাঁড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পোল্ট্রি শিল্পবান্ধব বাজেট পেশ করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিপিআইসিসি’র সহ-সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, করোনা সংকটে মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
একদিন বয়সী বাচ্চার সাপ্তাহিক উৎপাদন ১ কোটি ৭০ লাখ থেকে ১ কোটি ১০ লাখ এবং লেয়ার বাচ্চার উৎপাদন ১৪ লাখ থেকে ৯ লাখে নেমে এসেছে।
ডিমের দৈনিক উৎপাদন ৪.৫ কোটি থেকে ৩ কোটিতে নেমে এসেছে। ব্রয়লার মুরগির মাংসের দৈনিক উৎপাদন ৩০২৭ মেট্রিক টন থেকে ১৬০০ মেট্রিক টনে এবং পোল্ট্রি ও প্রাণিখাদ্যের মাসিক উৎপাদন ৪.৫ লাখ মেট্রিক টন থেকে ২.৯ লাখ মেট্রিক টনে নেমে এসেছে।
সার্বিক বিচারে এখাতে বিনিয়োগকৃত প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল নিঃশেষ হয়ে গেছে। ১৫ থেকে ২০ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়ার ঝুঁকিও তৈরি হয়েছে।
খালেদ বলেন, এমন সংকটকালীন সময়ে পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদবান্ধব বাজেট তৃণমূল খামারিদের মাঝে নতুন করে আশা জাগিয়েছে। সরকারের এ আন্তরিক সহযোগিতা পোল্ট্রি শিল্পকে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি যোগাবে।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-বিএবি’র সভাপতি মো. রকিবুর রহমান টুটুল বলেন, করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ পোল্ট্রি রপ্তানি শুরু করার প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয়ের লক্ষ্যে আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধাসহ সব ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলাম। প্রস্তাবিত বাজেট সে প্রত্যাশা শতভাগ পূরণ না করলেও আশা জাগিয়েছে।
এফআইএবি সাধারন সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান বলেন, এ মুহুর্তে মূল চ্যালেঞ্জটি হচ্ছে তৃণমূল খামারিদের উৎপাদনে ফিরিয়ে আনা। মূলধন সংকটের কারণে খামারিরা উৎপাদন শুরু করতে পারছেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনার দিকে আমরা তাকিয়ে আছি।
এগ প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ইপিএবি সভাপতি তাহের আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাজেটের সুফল যেন প্রান্তিক খামারিদের কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায় সেটাই এ সময়ের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব) সভাপতি ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রাজ্ঞতা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বেরই পরিচয় বহন করে।
তিনি বলেন, করোনা মহামারিতে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জীবাণুর বিরুদ্ধে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। সেজন্য দরকার ডিম, দুধ, মাছ, মাংসের মত পুষ্টিকর খাদ্যের উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা। প্রস্তাবিত বাজেট সে বিবেচনায় পোল্ট্রি, মৎস্য ও ডেইরি শিল্পের জন্যই শুধু নয় বরং ভোক্তা সাধারণের জন্যও আশির্বাদ স্বরূপ।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি