প্রেমের টানে মহানন্দা পেরিয়ে এপাড়ে

 জিজ্ঞাসাবাদে খুসনামা  পুলিশকে জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়্ডাাঙ্গী উপজেলার রতনদিঘী গ্রামের ইসরাইল হোসেনের ছেলে আব্দুল লতিফ ওরফে রকিব (২১)-এর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে তারা উভয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। প্রেম ও বিয়ের টানেই কাঁটাতার ও আন্তর্জাতিক সীমারেখা পেরিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তবে পুলিশের কাছে তিনি কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি।

জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে ভারতের ডাঙ্গীবস্তির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৪৪ এর ২ সাব পিলার এলাকার সীমান্ত দিয়ে মহানন্দা নদী পেরিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন খুসনামা। রাতে তেঁতুলিয়ার সর্দারপাড়া এলাকার হাসিবুল ওরফে হাসিনুর নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। ভারতীয় সীমান্ত পেরিয়ে ওই তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গেই বাংলাদেশে প্রবেশ করে বলে পুলিশের ধারণা। অবশ্য তরুণী আটকের খবর পেয়ে তার প্রেমিক আব্দুল লতিফও থানায় আসে। সেখানে প্রেমিকাকে বাসায় নিয়ে যেতে চায়। এ সময় সে বার বার কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

জিজ্ঞাসাবাদে খুসনামা আরও জানান, ভারতের কেরালা প্রদেশের হাজী আলী নামের এক ব্যক্তির হোটেলে তার ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতেন বাংলাদেশী তরুণ আব্দুল লতিফ রকিব। সেখান থেকে গড়ে ওঠা দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কের পর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া ভারতীয় এক তরুণীকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যেহেতু মেয়েটি নাবালিকা তাই আমরা মেয়েটির অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বিষয়টি বিজিবিকে অবহিত করা হয়েছে। বিজিবি-বিএসএফের আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. গোলাম ফজলে রাব্বি জানান, বিষয়টি আমরা শুনেছি। এ নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে কথা হয়েছে। বিএসএফ সিদ্ধান্ত না জানালে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।