Home আন্তর্জাতিক ‘জুনেই’ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে  ফ্রান্স

‘জুনেই’ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে  ফ্রান্স

ইমানুয়েল ম্যাখোঁ

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ফ্রান্স আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। আগামী জুনে নিউ ইয়র্কে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিরসনে জাতিসংঘ আয়োজিত এক সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

 এ সপ্তাহে মিসর সফর করা ম্যাক্রোঁ বুধবার ফ্রান্স ফাইভ টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমাদের স্বীকৃতির দিকে এগোতে হবে, এবং আমরা তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই করব।’

তিনি আরও জানান, ‘জুনে সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা এই সম্মেলনের আয়োজন করতে চাই, যেখানে একাধিক পক্ষের পারস্পরিক স্বীকৃতি চূড়ান্ত হতে পারে।’

ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি এই স্বীকৃতি দেব কারণ আমি মনে করি কোনো এক সময় এটা করা উচিৎ হবে, এবং আমি এমন এক সম্মিলিত উদ্যোগেও অংশ নিতে চাই, যার মাধ্যমে যারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে, তাদের ইসরায়েলকেও স্বীকৃতি দেয়ার সুযোগ তৈরি হবে।’

এই স্বীকৃতি ফ্রান্সকে ‘তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অবস্থান নিতে সাহায্য করবে, যারা ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার অস্বীকার করে—যেমন ইরান’, এবং একইসঙ্গে অঞ্চলজুড়ে সম্মিলিত নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের সমাধানে ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছে, এমনকি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের পরও।

তবে প্যারিসের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া দেশটির নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন হবে এবং এটি ইসরায়েলকে ক্ষুব্ধ করতে পারে, যারা বরাবরই বলে এসেছে—বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর এমন পদক্ষেপ হবে খুবই আগাম। ‘এক পয়সাও বিনিয়োগ করবে না কেউ’

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়া ফ্রান্সের পদক্ষেপ ‘প্যালেস্টাইন জনগণের অধিকার এবং দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে রক্ষা করার ক্ষেত্রে সঠিক দিকেই একটি পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছেন প্যালেস্টাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারসেন আঘাবেকিয়ান শাহিন।

প্রায় ১৫০টি দেশ ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২৪ সালের মে মাসে আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে ও স্পেন স্বীকৃতি দেয়, এরপর জুনে স্লোভেনিয়া। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার নিন্দা থেকেই অনেকটা এই সিদ্ধান্তগুলো এসেছে।

তবে ফ্রান্স হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপিয়ান শক্তি যারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে—এমন একটি সিদ্ধান্ত অ্যামেরিকা দীর্ঘদিন ধরেই করে যার বিরোধিতা আসছে।