বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ফুরসৎ নেই সিটি প্রশাসক খোরাশেদ আলম সুজনের। প্রতিটি মিনিট হিসেব করে তিনি চষে বেড়াচ্ছেন শহর।
রাস্তা থেকে অলিগলি সবখানে ছুটছেন, জনদুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাৎক্ষণিকভাবে। দুর্ভোগ লাঘবে আগেও কাজ করেছেন, সেবা সংস্থাগুলোর কাছে গিয়ে অভিযোগের প্রতিকার চেয়েছেন। আর প্রশাসকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জননেতার তৎপরতা বেড়ে গেছে অনেক। মিনিটে মিনিটে রিসিভ করছেন ফোন। শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ তাদের নানা সমস্যা ও দুর্ভোগের কথা জানাচ্ছেন তাকে।
শনিবার সকালে সিটি প্রশাসক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন চট্টগ্রামে সনাতনী সম্প্রদায়ের মরদেহ সৎকারের প্রধান শ্মশান বলুয়ারদীঘি অভয়মিত্র মহাশ্মশানে। শর্তবর্ষী এই শশ্মান দীর্ঘকাল হতে জোয়ারের পানির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার সংকটে নিমজ্জিত।
মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটি ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেছেন। এলাকাসী প্রশাসককে জানান যে, অনেক বছর ধরে এভাবে হাঁটু সমান পানিতে মরদেহ দাহ করতে হচ্ছে তাদের। খালসংলগ্ন অভয়মিত্র মহাশ্মশানটি নিচু হওয়ায় প্রতিদিনই জোয়ারের পানি উঠছে। বৃষ্টির সময় পানি আরও বেড়ে যাওয়ায় দাহ করার জন্য আনা মরদেহ রাখার জায়গা থাকে না। অনেক সময় জোয়ার-ভাটা দেখে মরদেহ সৎকারের সময় নির্ধারণ করতে হয়।
সিটি প্রশাসক জানান, সুন্দর পরিকল্পিত মহাশ্মশান করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।এমনভাবে মহাশ্মশানটি সংস্কার করতে হবে যাতে পাশের এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
দু:খ প্রকাশ করে বলেন, আমরা দেখেছি মহাশ্মশান উঁচুকরণ ও সংস্কারের জন্য প্রতি বছর নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হতো। কিন্তু বাস্তবায়ন কিছুই হয়নি।
মহাশ্মশানের পেছনে বয়ে যাওয়া চাক্তাই খালে স্লুইস গেট স্থাপন করলে জোয়ারের পানি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। জোয়ারের সময় গেট বন্ধ করা হলে শ্মশানে মৃতদেহ সৎকারে জল দুর্ভোগ সমস্যা নিরসন হয়ে যেতো। আশা করছি খুব শীঘ্রই মহাশ্মশানটির উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করব।
অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুনিরুল হুদা, অভয়মিত্র মহাশ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাবেক কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক বিজয় কিশান চৌধুরী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর পেয়ার মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব সিদ্দিকী, এডভোকেট তপন দাশ, কাউন্সিলর প্রার্থী রুমকী সেন গুপ্ত, ইঞ্জিনিয়ার আশুতোষ দাশ, অজয় বনিক, টুনটুন চক্রবর্তী, কুতুব উদ্দিন সেলিম, আবু জাফর চৌধুরী, সেকান্দর আলী, রফিকুল আলম বাপ্পী উপস্থিত ছিলেন।
সিটি প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন দামপাড়াস্থ জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গনে আবর্জনা বহনকারী ট্রলিসমূহের সামগ্রিক অবস্থা দেখতে যান সকালে। এসময় কথা বলেছেন ড্রাইভার ও সংশ্লিষ্টদের সাথে । প্রশাসক তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেসব এলাকার গলিতে টমটম ট্রলি যেতে পারছেনা সেখানে আমদের রিক্সাভ্যান রয়েছে। রিক্সাভ্যানে করে আবর্জনা নিয়ে এসে রাস্তায় টমটম ট্রলিতে দ্রুত পৌঁছাতে হবে। যাতে করে নগরবসীকে আবর্জনার দুর্ভোগ পোহাতে না হয়। এমনিতে বর্ষার মৌসুমে রাস্তা খোঁড়া-খুঁড়ির কারনে জনদুর্ভোগ চরমে। নগরবাসী আমাদের প্রাপ্য ট্যাক্স আমাদের দিচ্ছেন, তাদের সেবাও যাতে নিশ্চিত করা যায় সেজন্য সবাইকে ঈমানী দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যথায় আমরা বিবেক তাড়িত হবো। তিনি বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আবর্জনা গাড়ী বেশি আছে অথচ কোন কোন ওয়ার্ডে এই গাড়ী না পাওয়ার অভিযোগ আছে। তাই সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে গাড়ি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনে ৬১ টি টমটম ট্রলি রয়েছে এরমধ্যে ৬০টি সচল রয়েছে।