ঢাকা: ফেসবুকে প্রতারণায় জড়িত ১২ বিদেশি নাগরিক ও এক ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তাকে রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আটকরা হলেন- নন্দিকা ক্লিনেন্ট, ক্লেটাস আছুনা, ওইউকুলভ টিমটি, একিন উইসডোম, চিগোজি, ইভুন্ডে গ্যাব্রিল ওবিনা, স্যালেস্টাইন প্যাট্রিক, মর্দি ন্যামডি, ওরদু চুকওরদু সাম্মি, ডুবুওকন সোমায়ইনা, জেয়েরেম প্রেসিয়াস একমি, ওক উইসডম এবং বাংলাদেশি রাহাত আরা খানম ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন।
অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, আটক ব্যক্তিদের প্রতারণার শিকার হয়ে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করে সিআইডি। তারা অভিনব উপায়ে বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব তৈরি করে। বন্ধুত্বের একপর্যায়ে তারা ম্যাসেঞ্জার থেকে একটি উপহার পাঠানোর প্রস্তাব দেয়। পরে ম্যাসেঞ্জারে এসব মূল্যবান সামগ্রীর এয়ারলাইন বুকিংয়ের ডকুমেন্ট পাঠায়। উপহারের বক্সে কয়েক মিলিয়ন ডলারের মূল্যবান সামগ্রী রয়েছে বলেও ভুক্তভোগীকে জানানো হয়। তারা ভুক্তভোগীকে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাস্টম গুদাম থেকে সেগুলো রিসিভ করতে বলে। এ সময় তাদের সহযোগী রাহাত আরা খানম ওরফে ফারজানা মহিউদ্দিন নিজেকে কাস্টমস কমিশনার পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীকে চার লাখ ২৫ হাজার টাকা শুল্ক পরিশোধ করতে বলে। তারা সেই টাকা কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে পরিশোধের জন্য চাপ দেয়। প্রতারকদের পাঠানো উপহার সংগ্রহ না করলে আইনি জটিলতার ভয় দেখায় চক্রটি।
সিআইডির ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভুক্তভোগী একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে তাদের দেয়া বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তিন লাখ ৭৩ হাজার টাকা জমা দেন। একইভাবে আটক ব্যক্তিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সারা দেশ থেকে দুই মাসের মধ্যে শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে অবস্থান করে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছে। তাদের বাংলাদেশে অবস্থানের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। পল্লবী থানায় এ সংক্রান্ত একটি মামলা করেছে সিআইডি।
বাড়ির মালিকদের উদ্দেশে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, বাড়ির মালিকরা কোনো বিদেশি নাগরিককে বাড়িভাড়া দেয়ার আগে তাদের বৈধ কাগজপত্র ও পাসপোর্ট যাচাই করে বাড়িভাড়া দেবেন। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ব্যক্তির ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
-বাসস