Home Uncategorized ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারক চক্র: হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা

ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারক চক্র: হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: সাবধান। ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে সক্রিয় প্রতারক চক্র। বন্ধু সেজে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।

তবে শেষ পর্যন্ত একজন ভুক্তভোগীর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম।

বুধবার (১০ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক এ তথ্য জানিয়ে বলেন,আতিকুর রহমান (৪১) নামে একজন ভুক্তভোগীর দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের একটি দল অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের মানিকদি ও নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। চক্রের সদস্যরা ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা করে আসছিলো।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাইফুল ইসলাম আরিফ (৩২), ওমর ফারুক রনি (৪০), আনিছুর রহমান (২৬) এবং শহিদুল ইসলাম সোহেল (৩৬)।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক বলেন, ভুক্তভোগী আতিকুর রহমানকে বিদেশী পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্ব করে উপহার হিসাবে পার্সেলে ইউএস ডলার পাঠানোর কথা বলে চক্রটি। এক পর্যায়ে আতিকুর রহমানের সম্মতি পেয়ে উপহারটি তার নামে বিমানবন্দরে পাঠানোর কথা বলে চক্রটি।

সিআইডির কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, পরবর্তীতে তাদের সহযোগী কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়ে আতিকুর রহমানকে ফোনে পার্সেল আসার কথা এবং সেই পার্সেল স্ক্যান করে বিপুল পরিমাণ ইউএস ডলার আছে জানায়। তারা পার্সেল সংগ্রহ, লিগালাইজেশন, ইন্টারন্যাশানাল মর্টগেজের কথা বলে ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে সর্বমোট ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা- অপরাধ স্বীকার করে এবং পলাতক অপর আসামি হারুন অর রশিদ কামাল, জসিম সিকদার, হৃদয় আহমেদ, মহসিন, ওসমান গণি, আয়েশা আক্তার রত্না, রেহানা আক্তার, মাহমুদুল হাসান, হালিম, কাউছার হাসানসহ অজ্ঞাত দেশি বিদেশিসহ আরও কয়েক জন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা প্রকাশ করে বলে জানান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

জিজ্ঞাসাবাদে সিআইডিকে জানায়, তারা ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে যৌথ ব্যবসার মূলধন সংগ্রহ ও বিদেশে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মতিঝিল ও লালবাগ থানায় পেনাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত দুটি মামলা অধিকতর তদন্ত করছে বলে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জানান।